বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা রাজ্যকে। বাংলা জুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঢেউ। ফের একবার প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে নারী নিরাপত্তা! একইসঙ্গে হাসপাতালের (RG Kar Hospital) সুরক্ষার দায়িত্বে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের রাখাটা কতখানি যুক্তিযুক্ত সেই প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। এই আবহে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার।
আরজি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডের আবহেই বিরাট সিদ্ধান্ত!
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারের ধর্ষণ খুনের এই ঘটনার (RG Kar Case) জল সুপ্রিম কোর্ট অবধি গড়িয়েছে। শীর্ষ আদালতে এই মামলার দ্বিতীয় শুনানিতেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এরপরেই হাসপাতালের সুরক্ষা সম্বন্ধিত সহ অন্যান্য যে সকল কাজে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ব্যবহার করা হতো, তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা যাচ্ছে, আরজি করের ডিউটিতে থাকা সকল সিভিক ভলেন্টিয়ারকে (Civic Volunteer) ক্লোজ করা হয়েছে। সেখানে ২৯ জন সিভিক ভলেন্টিয়ার কর্মরত ছিলেন। তাঁদের আর ডিউটি দেওয়া হচ্ছে না বলে খবর। লালবাজার সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পরিবর্তে সমসংখ্যক কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মহিলা কনস্টেবলও রয়েছেন বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ আমরণ অনশনের মাঝেই নয়া সিদ্ধান্ত! এবার বিরাট কর্মসূচি জুনিয়র ডাক্তারদের! তোলপাড়
এই প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী একজন ডাক্তার বলেন, ‘আমাদের প্রথম থেকেই এই দাবি ছিল। যিনি অভিযুক্ত, তিনি একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। এটা নিরাপত্তার একটা বড় প্রশ্ন। সেই কারণে নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের রাখা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়া সত্ত্বেও এসএসকেএম সহ একাধিক সরকারি হাসপাতালে আমরা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ঘুরে বেড়াতে দেখেছি। জিজ্ঞেস করায় জবাব এসেছে, তাঁদের কাছে লালবাজারের থেকে কোনও নির্দেশ নেই। লালবাজারের অনেক দেরিতে ঘুম ভেঙেছে’।
আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিটে তাঁকেই ধর্ষক, খুনি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবারের শুনানিতে হাসপাতাল, বিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার সুরক্ষার দায়িত্বে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে রাজ্যকে সুপ্রিম-প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জিজ্ঞেস করেন, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কে নিয়োগ করেন? কোন আইন বলে তাঁদের নিয়োগ করা হয়? আরজি কর (RG Kar Hospital) মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এমনই ৬ দফা প্রশ্নের উত্তর রাজ্যকে হলফনামা আকারে জানাতে হবে।