বাংলাহান্ট ডেস্ক : কোন্নগর চটকল এলাকায় তরুণীকে লাগাতার গণধর্ষণ এবং ব্ল্যাকমেইলের ঘটনায় কার্যতই তোলপাড় গোটা রাজ্য। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চার অভিযুক্তকেও। এরই মধ্যে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কাউন্সিলরকে পুরো বিষয়টি জানানো হলেও তিনি সেটি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বাসিন্দাদের। কোন্নগর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কে বেবির এহেন প্রতিক্রিয়ার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা এক মহিলা বলেন, ‘কাউন্সিলরকে পুরো ঘটনাটা জানানো হয়। এরপর উনি বলেন, একবার হয়েছে, আবার একবার হলে আমি ব্যবস্থা নেব। এটা তোমরা ছেড়ে দাও। এটা উচিত হয়নি।’ মহিলা আরও বলন, ‘ ওঁকে জানান হয়েছে, উনি যদি কোনও সিদ্ধান্ত নিতেন তাহলে তো আমরা ছেড়ে দিতাম। আবার মেয়েটাকে ডেকে মেরেছে।’ এই মহিলার অভিযোগকেই সমর্থন করেছেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। কে বেবির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তাঁরাও।
অন্যদিকে সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলর। কে বেবির দাবী, ‘আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম, সবাই যেমন শুনেছে আমিও তাই শুনলাম।আমার বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগই মিথ্যে। এরকম কিছু হয়নি। আমার কাছে কেউ আসেনি। যা করা উচিত, প্রশাসন নিময় মতো ব্যবস্থা নেবে। আমি বলতে যাব কেন? অন্যায় করলে বিচার হবেই।’
উল্লেখ্য, কোন্নগর চটকল এলাকায় এক তরুণীকে মাস খানেকেরও বেশি সময় ধরে লাগাতার গণধর্ষণ করে চার যুবক। প্রথমবার ধর্ষণের ভিডিও রেকর্ড করে রেখে সেই ভিডিও দেখিয়েই ব্ল্যাকমেইল করে ক্রমাগত অত্যাচার চালায় তারা। এমনকি স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরালও করে দেওয়া হয় ভিডিওটি। এরপরই শ্রীরামপুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। সেই লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পি শিবা রাও, ভি হরিশ, বি বিবেক এবং আকাশ জানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।