বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিজের বিতর্কিত বয়ান নিয়ে আগাগোড়াই শিরোনামে থাকা পাকিস্তানের বিজ্ঞান মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী হুসেইন আরও একবার বিতর্কিত বয়ান দিয়ে চর্চায় এলেন। চৌধুরীর একটি বিতর্কিত বয়ানের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ওনাকে চরম আক্রমণ করা হচ্ছে। ফাওয়াদ একটি ট্যুইট করে লেখেন, ‘ এটা সত্য যে, মাদ্রাসায় পড়া সমস্ত ছাত্র আত্মঘাতী হামলাকারী হয়না। কিন্তু এটা এর থেকেও বেশি সত্য যে, প্রতিটি আত্মঘাতী হামকারীই মাদ্রাসা স্টুডেন্ট হয়।”
এর আগে ফাওয়াদ মঙ্গলবার ট্যুইট করে লিখেছিলেন, ‘ক্রিকেটের কমেন্টেটর্সরা আমাকে বলেছে যে, ভারত শ্রীলঙ্কার প্লেয়ারদের হুমকি দিয়ে বলেছে যে, তাঁরা যদি পাকিস্তানে খেলতে যায়, তাহলে তাঁদের আইপিএল থেকে বের করে দেওয়া হবে।” ওনার এই ট্যুইটের পর খোদ শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রী প্রতিক্রিয়া দেন। শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রী হারিন ফার্নান্ডো পাকিস্তানের বিজ্ঞান মন্ত্রীর এই দাবিকে নস্যাৎ করেন। তিনি বলে, ২০০৯ সালে আমাদের খেলোয়াড়দের উপরে যেই হামলা হয়েছিল, সেই হামলা এখনো আমরা ভুলিনি। আর সেই কারণেই কিছু খেলোয়াড় পাকিস্তানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
পাকিস্তানের বিজ্ঞান মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী ভারতের চন্দ্রযান-২ এর বিফলতা নিয়ে কটাক্ষ করতে এক সেকেন্ডও সময় নিয়েছিল না। চৌধুরী চন্দ্রযান-২ কে একটি খেলনা বলে আখ্যা দিয়ে ট্যুইট করেছিলেন। উনি ট্যুইট করে লিখেছিলেন, ‘যেটা করতে পারবে না, সেটা নিয়ে পাঙ্গা নিতে নেই ডিয়ার ইন্ডিয়া।” আপানদের জানিয়ে রাখি, ভারত যেই টেকনোলজি ব্যাবহার করে চন্দ্রযান-২ কে মহাকাশে পাঠিয়েছে, সেই টেকনোলজিতে পাকিস্তান এখনো ১০০ বছর দূরে আছে। চৌধুরীর এই ট্যুইটের পর শুধু ভারতীয়রাই না, গোটা বিশ্ব এমনকি পাকিস্তানিরাও চৌধুরীকে নিয়ে ঠাট্টা করা শুরু করে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওনাকে নিয়ে খুব ট্রল হয়।
পাকিস্তানের বিজ্ঞান মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর চন্দ্রযান নিয়ে বয়ান দেওয়া পর পাকিস্তানিরা বলেছিল যে, এটা সম্পূর্ণ বাচ্চাদের মতো বয়ান। কেউ কেউ আবার এটাও বলেছিল যে, আমাদের বাসের টিকিট কেনার পয়সা নেই বলে আমরা ভারতের মিশন নিয়ে এরকম লজ্জাজনক ট্যুইট করছি। আবার পাকিস্তানের এক সমাজকর্মী বলেছিলেন, গোটা বিশ্ব মেট্রোতে সফর করছে, আর আমরা পাকিস্তানিরা এখনো রিক্সা নিয়েই পড়ে আছি।”