বাংলাহান্ট ডেস্ক : উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করেছেন অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীরা। অকৃতকার্য পড়ুয়ারা অশান্তি সৃষ্টি করেছেন একাধিক জেলায়। এই রকম উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে রিভিউ এবং স্ক্রুটিনির দিনক্ষণ ঘোষণা করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
মঙ্গলবার সংসদের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, আগামী ২০ জুন থেকে রিভিউ এবং খাতা স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। আবেদন গ্রহণ করা হবে ৫ জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু এই আবেদন করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে। প্রতিবাদ বিক্ষোভের জেরে এই বছর সকল বিষয়েই রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য নিজেই। তবে এই ব্যবস্থা কেবলমাত্র এই বছরের জন্যই প্রযোজ্য তাও স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন তিনি। শীঘ্রই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি করা হবে সংসদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে। জানা যাচ্ছে, আবেদনকারীরা একই সঙ্গে রিভিউ-স্ক্রুটিনি এবং আরটিআইও করতে পারবেন না।
তবে, জটিলতা এড়াতে স্ক্রুটিনি এবং রিভিউ-র ফল বেরোনোর পরই আরটিআই করতে বলা হয়েছে। আরটিআইয়ে উত্তরপত্রের ফটোকপির জন্যও আবেদন করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। যত দ্রুত সম্ভব রিভিউ, স্ক্রুটিনি এবং আরটিআইয়ের উত্তর দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। কিন্তু বিকাশ ভবনের সামনে যে সকল পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিলেন তাঁদের দাবি তাঁরা রিভিউ করতে চান না, তাঁদের সব বিষয়ে পাশ করিয়ে দিতেই হবে। এবিষয়ে যদিও কোনও কথাই চিরঞ্জীববাবু বলেন নি।
এদিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘এবছর পাশের হার খুবিই বেশি। অকৃতকার্য হয়েছে ১১.৫৬ শতাংশ। এবার ফলাফল তুলনামূলকভাবে বেশ ভালো। টপ টেনে ২৭২ জন রয়েছে। তবে পরীক্ষা দিলে কেউ না কেউ তো ফেল করবেই। এতে আমাদের কিছু করার নেই। সেক্ষেত্রে পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবি অমূলক। গতবার পরীক্ষা হয়নি। তাই সবাইকে পাশ করানো হয়েছিল। পরীক্ষা ব্যবস্থায় পাশ-ফেল প্রথা তো থাকবেই। কোনও অভিযোগ থাকলে, পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি, রিভিউ ওপেন করছি। খুটিয়ে দেখব আমরা। পাশ করার মতো অবস্থায় থাকলে, নিশ্চয়ই আমরা পাশ করাবো।’ তবে চিরঞ্জীববাবুর এই আশ্বাসে অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ প্রশমিত হবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না।