বাংলা হান্ট ডেস্ক : বেজে গিয়েছে ভোট যুদ্ধর দামামা। আর কয়েক মাস পরই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। তার আগে, আরও একবার বিরোধীদের এক সারিতে দাঁড় করিয়ে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি বলেন, সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্তরা একযোগে ‘ভ্রষ্টাটারী বাঁচাও অভিযান’-এ নেমেছেন। তাঁর আরও দাবি, ‘এটা এমন এক সময়ে যখন ভারত বড় কিছুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তখন , এটা স্বাভাবিক যে দেশের ভিতরে ও বাইরে ভারতবিরোধী শক্তিগুলো একত্রিত হবে। ‘
২০২৩ ভারতীয় জনতা পার্টির অগ্নিপরীক্ষার বছর। ৩ রাজ্যে নির্বাচন হয়ে গেছে। আসন্ন কর্ণাটক বিধানসভা ভোট। সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়াদুরেপ্পাকে বিজেপি সরিয়ে দিয়েছে দুর্নীতির অভিযোগে। ক্ষমতায় এখন বাসবরাজ বোম্বাই। তাঁর নামেও লেগেছে দুর্নীতির কালি। কর্ণাটকে জিততে তাই মাঝেমধ্যেই দক্ষিণ ভারত উড়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর উপর সামনের বছরই লোকসভা নির্বাচন। তাই তার আগে বিরোধী পক্ষকে একযোগে তোপ দাগলেন নমো।
বিজেপির পার্টি হেডকোয়ার্টারের একাংশের উদ্বোধন হয় কাল। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই সভার মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘ভারতের সংবিধানের বিধির ওপর ভিত্তি করে দেশ এগিয়ে চলেছে। আর যখন দেশের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি ব্যবস্থা নেয় দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে, তখন তাদের আধিকারকদের আক্রমণ করা হয়। যখন দেশের কোর্ট কোনও রায় দেয়, তখন কোর্টকেও প্রশ্ন করা হয়।’
এদিন মোদি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে, কিছু পার্টি ভ্রষ্টাচারী বাঁচাও অভিযানের এক মঞ্চের আওতায় আসছে।’ সম্প্রতি, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এক মানহানির মামলায় তাঁকে সাজা দেয় সুরাট কোর্ট। সুরাট কোর্ট রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের কারাদন্ডের সাজা দেয়। তারপর লোকসভা রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করে। এই ইস্যুতে বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে কংগ্রেস। এবার সেই প্রসঙ্গে সরব হলেন নমো। তিনি বলেন, ‘আমি যেখানে যাই, মানুষ আমাকে বলেন, মোদিজি থেমে যাবেন না। আমরা যদি এখন থেমে যাই এই দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে, তাহলে সাধারণ মানুষ ভেঙে পড়বেন। এই শক্তিগুলি আমাদের রুখতে পারবে না। ’
এদিন সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘কংগ্রেসের বহু বড় নেতা জনসংঘের সময় থেকে বলতেন, জনসংঘ ধ্বংস হয়ে যাবে। এখন কংগ্রেস নেতারা বলছেন, মোদি তোমার কবর খোঁড়া হবে। বিজেপি সেরকম কোনও পার্টিই নয় যে টেলিভিশন, টুইটার, ইউটিউবে জন্মাবে। অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেন, যে আমি কেন বিশ্রাম করি না যখন দুবার প্রধানমন্ত্রী হয়েই গিয়েছি, অনেকেই এটা জানেন না যে বিজেপি কর্মীদের ভাগ্যে বিশ্রাম নেই।’