বিমানে থাকা ২৪২ জনেরই মৃত্যুর আশঙ্কা! বিষ্ফোরক তথ্য প্রকাশ আহমেদাবাদ পুলিশ কমিশনারের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার (Plane Crash) খবরে সামনে এল চাঞ্চল্যকর খবর। বৃহস্পতিবার দুপুরে লন্ডনের উদ্দেশে যাওয়ার পথে আহমেদাবাদে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। ২৩০ জন যাত্রী সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন ওই বিমানে। মনে করা হচ্ছে, বিমানে (Plane Crash) থাকা সকলেরই মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়। আহমেদাবাদের উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তার তরফে জানানো হয়েছে এমনটাই।

টেকঅফের পরেই দুর্ঘটনা (Plane Crash) আহমেদাবাদে

বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা ৩৯ মিনিট নাগাদ আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছেই মেঘানিনগরে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। রিপোর্ট বলছে, টেকঅফ করার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। তারপরেই বিরাট বিষ্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায় বিমানে (Plane Crash)। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভেঙে পড়ে বিমানটি। একটি মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে ঢুকে যায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ।

কতজন যাত্রী ছিলেন: জানা গিয়েছে, ওই বিমানে ছিলেন দুই শিশু সহ মোট ২৩০ জন যাত্রী। এছাড়াও ছিলেন দুজন পাইলট সহ ১২ জন কেবিন ক্রু। রিপোর্ট বলছে, যাত্রীদের মধ্যে ভারতীয় ছিলেন ১৬৯ জন, ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন ৫৩ জন। এছাড়াও ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন কানাডিয়ান যাত্রী ছিলেন ওই বিমানে। সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন : উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর ১ মাস অতিক্রান্ত, অবশেষে শুরু হচ্ছে কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া

সকলেরই মৃত্যুর আশঙ্কা: সংবাদ সংস্থা AFP কে আহমেদাবাদ পুলিশ কমিশনার জানান, বিমান দুর্ঘটনার (Plane Crash) পর হয়তো আর কারোর জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই। তিনি আরো বলেন, বিমানটি এমন জায়গায় ভেঙে পড়েছে যা একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং কয়েকটি অফিসও রয়েছে সেখানে। তাই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, যে হস্টেল বিল্ডিংটিতে বিমানটি (Plane Crash) ভেঙে পড়েছিল সেখানে ২০ জন জুনিয়র চিকিৎসকের মৃত্যু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন : হাসিনার মন্তব্যে বাংলাদেশে ক্ষোভ, মোদীর কাছে নালিশ ইউনূসের, পালটা সপাট জবাব নমোর

ইতিমধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে এনডিআরএফ। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে উদ্ধারকাজ। বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলির বাইরে উপচে পড়ছে ভিড়। প্রিয়জনদের খোঁজে অনেকে প্ল্যাকার্ড নিয়েও এসেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এটাই সবথেকে বড় বিমান দুর্ঘটনা। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।