বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট (WB Assembly Elections)। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক, বিরোধী প্রত্যেকে। শুরু হয়েছে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণের ধারা। এই আবহে বড় সাফল্য পেল জোড়াফুল শিবির (Trinamool Congress)। আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে সমবায় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।
প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা! বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল (Trinamool Congress)
সাম্প্রতিক অতীতে গ্রাম বাংলায় একাধিক সমবায় নির্বাচনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। সবুজ ঝড়ে বেসামাল হয়েছে বিরোধীরা। কোথাও আবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর পরাজিত হয়েছে। তবে এবার শহর সংলগ্ন সমবায় ভোটেও বাজিমাত করল জোড়াফুল শিবির। শহর কলকাতা ঘেঁষা গড়িয়া এলাকায় ‘দ্য বোড়াল ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেড’এ ভোট হল। রবিবার সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬৯টি আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
এই সমবায় ভোটে প্রার্থীই দিয়ে পারেনি বাম-বিজেপি। বিরোধী দলের কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় প্রায় আড়াই দশক পর সংশ্লিষ্ট সংস্থার ৬৯টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল জোড়াফুল শিবির। এদিন জয়ী প্রার্থীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেয় নির্বাচন পরিচালন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ ‘CPM-কে চা খাওয়ার পয়সাও দেয় তৃণমূল’! ব্রিগেড সমাবেশের পরেই বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
দক্ষিণ ২৪ পরগণার এই বৃহত্তম সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটে তৃণমূলের তরফ থেকে নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর ফিরদৌসি বেগম ও রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল নজরুল মণ্ডল। স্বভাবতই এই ফলাফলে উচ্ছ্বসিত ফিরদৌসি। তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৯৪টি সামাজিক প্রকল্প আছে। আর বছরভর তৃণমূল মানুষের পাশে থাকে। সেই জন্যই সমবায় ভোটেও একজন বিরোধীদের হয়ে মনোনয়ন জমা দেননি’।
ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে শহর থেকে গ্রাম, প্রায় সর্বত্রই সমবায় ভোটে তৃণমূলের (Trinamool Congress) জয়জয়কার চোখে পড়ছে। এর ফলে বিরোধীদের চাপ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এভাবেই চলতে থাকলে আগামী বছরের ভোটেও তাদের চাপে পড়তে হবে বলে মনে করছেন অনেকে।