বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফেব্রুয়ারি মাস মানেই ভালোবাসার মাস। তাই শহর জুড়ে এখন প্রেমের মরশুম। এমন মরশুমে স্মৃতির সরণি বেয়ে নিজের মেয়েবেলায় ডুব দিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul)। বর্তমানে তিনি একজন দাপুটে বিজেপি নেত্রী। তবে সম্প্রতি দ্য ওয়ালের কাছে নিজের মনের জানলা খুলে অকপট আড্ডায় বসেছিলেন তিনি। সেই আলোচনার বেশিরভাগটাই ছিল রাজনীতি বহির্ভূত। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর যৌবনকালের অনেক অজানা কথা। কথা প্রসঙ্গে জানা যায় নেত্রীর ভালো লাগার মানুষদের নাম-পরিচয়-ও।
স্কুল জীবনের প্রেম নিয়ে অকপট BJP বিধায়ক অগ্নিমিত্রা (Agnimitra Paul)
অগ্মিমিত্রা (Agnimitra Paul) মনে করেন প্রেম মানে সম্মান,ত্যাগ আর অ্যাডজাস্টমেন্ট। বাঙালি পরিবারের আর পাঁচজন মেয়ের মতই মেয়েবেলায় অগ্নিমিত্রার জীবনেও ছিল ভালোলাগার মানুষ। তিনি হলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সানি দেওল। বিজেপি নেত্রীর কথায় ছোটবেলায়, ‘সানি দেওলের প্রেমে পড়েছিলাম’।
আজকের দাপুটে নেত্রী তখন ছিলেন ক্লাস এইটের ছাত্রী। সেসময় একটা সিনেমার প্রমোশনে এসেছিলেন অভিনেতা। তখন প্রথমবার সানি দেওলকে সামনে থেকে দেখেছিলেন তিনি। সেসময় তাঁর বাড়িতে সানি দেওলের যে পোস্টার ছিল সেটা নিয়ে গিয়েই সই নিয়ে এসেছিলেন কিশোরী অগ্নিমিত্রা (Agnimitra Paul)। তবে শুধু সানি দেওল নয়, অগ্নিমিত্রার মনের কোণে জায়গা তৈরি করেছিল আরো একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। আর তিনি হলেন বাংলা সিনেমার অতি পরিচিত নায়ক ‘সাহেব।’ হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন এখানে কথা হচ্ছে তাপস পালকে (Tapas Paul) নিয়েই। একসময় তাপস পাল ছিলেন স্কুল পড়ুয়া অগ্নিমিত্রার হার্টথ্রব।
১৯৮১-তে যখন সাহেব সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল তখন স্কুল পড়ুয়া অগ্নিমিত্রা (Agnimitra Paul) রোজ বাসে করে চিত্রা সিনেমা হলের সামনে দিয়ে যেতেন স্কুলে। সেসময় সিনেমা হলের সামনে কোঁকড়া-ঝাঁকড়া চুলের তাপস পালের ছবি দেখে প্রেমে পড়েছিলেন নেত্রী। সেই শুরু, তারপর থেকে নাকি রোজ সেই পোস্টারের দিকেই ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকতেন তিনি।
অভিনয় ছেড়ে একসময় রাজনীনিতে নাম লিখিয়েছিলেন তাপস পাল। তারপর মহিলাদের উদ্দেশে একটা বিতর্কিত মন্তব্য করেই রাতারাতি হারিয়ে ছিলেন সমস্ত খ্যাতি। বিজেপি নেত্রীর কথায়, এদিন উঠে এল সেই প্রসঙ্গও। অগ্নিমিত্রা বললেন,’তাপসদার একটি সিনেমায় আমি পোশাকের দায়িত্বে ছিলাম। তখন অনেকটা ওজন বেড়িয়ে ফেলেছেন তিনি। উনি হয়তো শেষের দিকে অন্য রাজনৈতিক দলে গেছিলেন। তখনও তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। বউদির সঙ্গে এখনও যোগাযোগ আছে। মতাদর্শগত ফারাক তো ছিলই, তিনি যে মহিলাদের উদ্দেশে মন্তব্য করেছিলেন, তার প্রতিবাদও আমি করেছিলাম।’ তবে একসময় তরুণী অগ্নিমিত্রার সাংঘাতিক ক্রাশ ছিল সিলভেস্টার স্ট্যালোন, ঋষি কাপুরের প্রতিও।