বাংলা হান্ট ডেস্ক:বছরের পর বছর ধরেই বাংলার ঘরে ঘরে পূজিত হয়ে আসছেন বাবা লোকনাথ (Baba Loknath) ব্রহ্মচারী। সামনেই আসছে ১৯ জৈষ্ঠ, অর্থাৎ বাবার তিরোধান দিবস। এবছর বাবা লোকনাথদেবের তিরোধান দিবস পড়েছে ববিবার। অর্থাৎ ইংরাজি ২’জুন। ১৭৩০ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ অগাস্ট জন্মাষ্টমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাবা লোকনাথ।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কচুয়া গ্রামে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম হয়েছিল তাঁর। লোকনাথ দেবের বাবা ছিলেন রামনারায়ণ ঘোষাল আর মা কমলা দেবী। অনেকে মনে করেন বাবা লোকনাথ হলেন স্বয়ং দেবাধিদেব মহাদেবের অবতার। লোকনাথ দেব বরাবরই তাঁর ভক্তদের কাছে খুবই জাগ্রত একজন দেবতা।
বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে তাঁর পুজো করা হয়ে থাকে। কথিত আছে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বারদী আশ্রমে তিনি মহা সমাধি লাভ করেছিলেন। সেদেশেই ১৯ শে জৈষ্ঠ্য দুপুর ১১ টা ৪৫ মিনিটে মহাসমাধি নিয়েছিলেন বাবা লোকনাথদেব।
নিজের ভক্তদের উদ্দেশ্যে বাবা লোকনাথ বলে গিয়েছিলেন ‘রণে বনে জলে জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে, আমাকে স্মরণ করিও, আমিই রক্ষা করিব।’ তাঁর এই অমোঘ বাণী আজও মেনে চলেন তাঁর অগণিত ভক্ত। শুধু বাংলাতেই নয় গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন বাবার ভক্তারা। জৈষ্ঠ্য মাস পড়তেই লোকনাথ বাবার পুজো অর্চনায় মেতে ওঠেন তাঁর ভক্তরা। আর তাঁর তিরোধান দিবসের দিন পুজো অর্চনা করা হয় তাঁর মন্দির এবং ভক্তদের বাড়িতে
আরও পড়ুন: বিশ্বমঞ্চে নারী শক্তির জয়! রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ সম্মান প্রদান ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে
বাবা লোকনাথ বরাবরই খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতেন। তাই খুব অল্পতেই সন্তুষ্ট তিনি। তাঁর পুজোয় কোনও বিশেষ আড়ম্বরেরও প্রয়োজন হয় না। বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর প্রিয় ভোগ হল মিশ্রী। জানা যায়, পোলাও কিংবা পনির নয়, ভাত, ডাল, চচ্চড়ি বা খিচুড়ি, লাবড়া, চাটনি,বা সবরকম সব্জি সেদ্ধ দিয়ে তৈরী ভাত বাল্যভোগ তাঁর প্রিয় খাবার।
আগেই বলেছি এবছর লোকনাথ বাবার তিরোধান দিবস ১৯ জ্যৈষ্ঠ পড়েছে ইংরেজির ২ জুন। ওই বিশেষ দনে পুজো করার সবচেয়ে শুভ মুহূর্ত হল সকাল ৬.৪৩ মিনিটে এবং তার পর সকাল ৯.২৫ মিনিটে। এছাড়া কেউ চাইলে দুপুর ১২.০৬ মিনিটে এবং ২.৪৭-এ পুজো করতে পারবেন।