বাংলা হান্ট ডেস্ক : মায়া নগরী মুম্বাই মানেই স্বপ্নের শহর। প্রতিদিন না জানি কত ছেলে মেয়ে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আসেন এই শহরে অর্থাৎ বলিউডে (Bollywood)। কিন্তু তাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক মানুষেরই ভাগ্য সহায় হয়। এদের মধ্যে কেউই রাতারাতি শাহরুখ খান কিংবা অমিতাভ বচ্চন হতে পারেন না। কঠোর পরিশ্রম দীর্ঘ অধ্যবসায় আর সাথে প্রতিভা জোরেই সফল হন হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন।
একটা সিনেমাই ভাগ্য বদলে দেয় এই ‘বলি সুন্দরী’র (Bollywood)
বিশেষ করে বহিরাগত অভিনেতা অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা আরো বেশি। বলিউড (Bollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে এমনই একজন প্রতিভাবান সুন্দরী অভিনেত্রী রয়েছেন যিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে ছেড়েছিলেন স্কুল। অভিনয়ের পোকাটা তার মধ্যে এমনভাবে কামড় বসিয়েছিল যে মাঝপথেই স্কুলের পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে দিয়ে তিনি সোজা চলে এসেছিলেন স্বপ্নের শহর মুম্বাইতে।
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বলিউডের (Bollywood) একের পর এক ফ্লপ সিনেমায় অভিনয় করে গিয়েছিলেন তিনি। ঝুলিতে ছিল না একটাও হিট সিনেমা। তারপরে অবশেষে সহায় হয় ভাগ্যদেবতা। রাতারাতি তাঁর স্টার বানিয়ে দেয় একটাই সিনেমা। বলিউডের (Bollywood) অত্যন্ত সফল নারী কেন্দ্রিক সিনেমার প্রধান মুখ ছিলেন তিনি। আর এই সিনেমাই রাতারাতি মাইল ফলক হয়ে দাঁড়ায় এই অভিনেত্রীর ফিল্মি কেরিয়ারে।
তিনি আর কেউ নন, ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ খ্যাত বলিউড অভিনেত্রী আদা শর্মা (Adah Sharma)। আদার অভিনয় জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল এই সিনেমা। আজ তিনি বলিউডের সফল অভিনেত্রী হলেও একটা সময় তিনি বারবার রিজেক্ট হয়েছিলেন তাঁর লুকের জন্য। বলিউডে ডেবিউ করার আগে একাধিকবার ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে একবার এক সাক্ষাৎকারে আদা জানিয়েছিলেন কেরিয়ারের শুরুর দিকে তাকে বলা হয়েছিল তাঁকে নাকি দেখতে ভালো নয়! অভিনেত্রীর কথায় ,’তোমাকে দেখতে ভালো লাগছে না! তারপর আমি বুঝতে পারলাম কেউ যদি আমাকে রিজেক্ট করতে চায় তাহলে সে এমনিই রিজেক্ট করবে। আমি যেমনই দেখতে হই না কেন। কিন্তু আমি যদি কোন চরিত্রের জন্য যোগ্য হই তাহলে আমার মধ্যে কোন ত্রুটি থাকলেও তারা আমাকে সিলেক্ট করবেন।
আরও পড়ুন : ‘উপহার পাঠালেও ওর কাছে পৌঁছবে কি না জানি না’! জীতুর জন্মদিনে আক্ষেপ ‘প্রাক্তন’ নবনীতার
‘এইভাবে একের পর এক সিনেমায় রিজেক্ট হওয়ার পরেও হার মানেনি অভিনেত্রী। অবশেষে বিক্রম ভাটের ‘১৯২০’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন আদা। সিনেমাটি বক্স অফিসে হিট তো করেই ছিল পাশাপাশি দর্শকরাও তার অভিনয়ের ব্যাপক প্রশংসা করেছিলেন। এরপর আদার ঝুলিতে এসেছে,‘ফির’, ‘হাম হ্যায় রাহি কার কে’, ‘কমান্ডো ২’, ‘হাসি তো ফাসি’-র মতো বেশ কিছু সিনেমা।
তবে আদা অভিনীত একাধিক সিনেমাই মুখ থুবড়ে পড়েছিল বক্স অফিসে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে স্ট্রাগল করলেও কোন হিট সিনেমা ছিল না আদার ফিল্মি ক্যারিয়ারে। অবশেষে পরিচালক সুদীপ্ত সেনের দ্য কেরালা স্টোরির হাত ধরেই বহু প্রতিক্ষিত সাফল্যের স্বাদ পান আদা। যা তাঁকে রাতারাতি এনে দেয় দেশ জোড়া সাফল্য। তিনিই হয়ে ওঠেন সারা দেশের ক্রাশ। মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী খবর ২০ কোটি বাজেটের এই সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী মোট ৩০৩ কোটি টাকা আয় করেছিল।