বর্ষাকাল আসতেই শুরু করে দিন এই জবরদস্ত ব্যবসা! প্রতি মাসে আয় হবে প্রচুর 

বাংলা হান্ট ডেস্ক:এখনকার দিনে চাকরি ছেড়ে ব্যবসার (Business) দিকেই ঝুঁকছেন অধিকাংশ মানুষ। কিন্তু ব্যবসা করতে গেলে সবার প্রথমেই মাথায় আসে পুঁজির চিন্তা। অনেকেই মনে করেন কম পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা যায় না। কিন্তু আসলে তা নয়। এমন অনেক ব্যবসা আছে, যা কম পুঁজিতে শুরু করেও ভালো অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। আমাদের দেশ ভারতবর্ষের মূলত কৃষি প্রধান দেশ। তাই সারা বছরই ভারতবর্ষের কৃষি কাজের ব্যাপক চাহিদা।

আর ইদানিং আমাদের দেশে কৃষি কাজে প্রাকৃতিক সারের ব্যবহার ব্যাপক বাড়ছে।এর ফলে চাষের খরচ যেমন কমানো যায় তেমনি বাড়তে থাকে কৃষকদের আয়। তাছাড়া প্রাকৃতিকভাবে তৈরি এই সমস্ত সার ক্ষেত, মাটি, পরিবেশ গাছপালা কোন কিছুরই ক্ষতি করে না। তব এমন অনেক কৃষক রয়েছেন যারা জৈব চাষ করতে চাইলেও এই সার তৈরি করতে না পারার কারণে তা করতে পারছেন না।

বৃষ্টি আসার সাথে সাথে এই জৈব সারের ব্যবসা শুরু করতে পারলে লাভ কিন্তু ধরাবাঁধা। তৈরি সার পেলে শুধু কৃষকরাই নন উপকৃত হবেন বিক্রেতারাও। প্রসঙ্গত ভার্মিকম্পোস্ট (Vermi Compost) এমন একটি প্রাকৃতিক সার, যা বিক্রি করে কৃষকরা ভালো আয় করতে পারেন। অনেক কৃষক আছেন যারা জৈব চাষ করতে চান কিন্তু পদ্ধতি না জানার কারণে এই সার তৈরি করতে পারছেন না।

প্রসঙ্গত কৃষকরা ঘরে বসেই তৈরি করতে পারবেন এই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সার ভার্মিকম্পোস্ট (Vermi Compost)। বাড়ির ফাঁকা জায়গাকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই এই ভার্মিকম্পোস্ট (Vermi Compost) সার তৈরির ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনো শেড না থাকলেও চলবে। তবে খামারের চারপাশে জালের বেড়া তৈরি করে পশুর হাত থেকে খামারকে রক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন: কন্যা সন্তান হলেই ২ লাখ টাকা দেবে সরকার! নয়া প্রকল্পে খুশির হাওয়া রাজ্যে

এই ব্যবসার উপকরণ হিসাবে বাজার থেকে বড় এবং টেকসই পলিথিন ট্রাইপোলিন কিনে নির্দিষ্ট মাপে কেটে নিতে হবে।প্রথমে ওই পলিথিন মাটিতে বিছিয়ে তার উপর গোবর ছড়িয়ে নিতে হবে। এই গোবরের উচ্চতা ১ থেকে ১.৫ ফুটের মধ্যে রাখতে হবে।এরপর ওই  গোবরের মধ্যে কেঁচো রাখতে হবে। জানা যাচ্ছে ২০টি বেডের জন্য প্রায় ১০০কেজি কেঁচো লাগে। এখানে বলে রাখি এই জৈব সার তৈরী করতে প্রায় এক মাস সময় লাগে।

vermiconpost

ভার্মিকম্পোস্ট বিক্রির ব্যবসা

এখনকার এই অনলাইনের যুগে ভার্মিকম্পোস্ট সার বিক্রি করতে অনলাইনের সাহায্য নেওয়া যেতেই পারে। কেউ চাইলে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে বিক্রি বাড়াতে পারেন। কেউ যদি ২০ টি বেড নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে ৩০-৫০ হাজার টাকা খরচ হবে। যা ২ বছরের মধ্যে টার্নওভার ৮-১০লক্ষ টাকা হবে৷


Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর