বাংলা হান্ট ডেস্ক : বর্ষিয়ান অভিনেত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায়কে (Mita Chatterjee)-কে না চেনেন! দূরদর্শনে সম্প্রচারিত কালজয়ী মেগা সিরিয়াল ‘জন্মভূমি’ (Janmabhumi) ধারাবাহিকে দাপুটে পিসিমার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর ১৩০০-টি এপিসোড নিয়ে রমরমিয়ে চলেছিল বাংলা টেলিভিশনের এই হিট মেগা সিরিয়ালে। এই সিরিয়ালটি শেষ হওয়ার পর আরও একাধিক সিনেমা কিংবা সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন মিতা দেবী (Mita Chatterjee)।
আজও ‘জন্মভূমির পিসিমা’ মিতা চ্যাটার্জী (Mita Chatterjee)
কিন্তু এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে (Mita Chatterjee) আজও দর্শকম মনে রেখেছেন জন্মভূমি সিরিয়ালের পিসিমা হিসেবেই। হাসিখুশি-প্রাণবন্ত এই অভিনেত্রী বারবার বাংলা বিনোদন জগতকে সমৃদ্ধ করেছেন তাঁর সাবলীর অভিনয় দিয়ে। বয়স তাঁর কাছে সংখ্যা মাত্র। তাই এই ৯২ বছর বয়সে এসেও তার অফুরন্ত জীবনীশক্তি দেখলে ভিড়মি খাবেন নতুন প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। অভিনয়ের পাশাপাশি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বাংলা ইন্ডাস্ট্রির এই ‘দিদা’।
আসলে এই বয়সে এসেও তিনি কারও মুখে ‘ম্যাডাম’ সম্বোধন শুনতে পছন্দ করেন না। নিজে থেকেই বলেন তাঁকে যেন ‘দিদা’ বলে ডাকা হয়। সংখ্যার হিসাবে বয়স তাঁর ৯২ হলেও মনের দিক থেকে এখনো তিনি অষ্টাদশী। আজও প্রাণখোলা হাসিতে নিমেষের মধ্যে আপন করে নিতে পারেন অচেনা ব্যক্তিকেও। গত বছরেই টিভি নাইন বাংলার বায়োস্কোপ অ্যাওয়ার্ড-এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন জন্মভূমির পিসিমা মিতা চ্যাটার্জী।
এই অনুষ্ঠানেই মঞ্চে ওঠার সময় তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সঞ্চালক এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে ‘ম্যাডাম’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। তখনই তাঁকে থামিয়ে দিয়ে অভিনেত্রী বলে ওঠেন, ‘আমাকে ম্যাডাম ঠ্যাডাম বলিসনি। দিদা বলে ডাকবি। আমি সকলের দিদা। ওই ডাকটাই আমার সবচেয়ে কাছের মনে হয়।’
আরও পড়ুন : ‘আমি মাসি হয়ে গেছি’! রণবীর-দীপিকার মেয়ের জন্য পুতুল কিনলেন রাখী সবন্ত
জি বাংলার ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকে শেষবার দেখা গিয়েছিল তাঁকে। অন্যদিকে বড় পর্দায় স্বস্তিকা মুখার্জির অভিনীত ‘কিয়া অ্যান্ড কিসমিস’ সিনেমায় শেষবার অভিনয় করেছিলেন তিনি। তবে করোনা সংক্রমণের পর থেকে সেভাবে আর শুটিং ফ্লোরে দেখা যায় না অভিনেত্রীকে। কলকাতার টালিগঞ্জের মুর অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে এখন পরিবারের সাথেই সময় কাটান মিতা চট্টোপাধ্যায়। ইদানিং পরিবারের সাথে সময় কাটানোর পাশাপাশি এখন এই অভিনেত্রী নিত্যসঙ্গী খাতা কলম।
জানলে অবাক হবেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর লেখা বিজ্ঞানভিত্তিক ছড়া এই মুহূর্তে ১৭৫টি স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে রয়েছে। লেখালেখির পাশাপাশি পুজো পাঠ করে থাকেন তিনি। বয়স ৯২ হলেও এখনও তা মানতে নারাজ অভিনেত্রী। তিনি মনে করেন, ‘আমার বয়স যে ৯২ সেটা বারবার বলিসনি। আমি চাইনা লোকে জানুক আমার টলমল অবস্থা। আমার বয়স ৯২ হয়েছে তো কি। অভি তো ম্যায় জওয়ান হু।