বাংলা হান্ট ডেস্ক : কথায় আছে শিল্পীর মৃত্যু নেই! ভারতীয় সুর সাম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরও (Lata Mangeshkar) তাই আজও তাঁর অগণিত ভক্তদের মনে জীবিত রয়েছেন গানের মধ্যে দিয়েই। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তিনি তাঁর (Lata Mangeshkar) সুরের জাদুতে মুগ্ধ করেছেন আপামর সংগীত প্রেমীদের। ১৯৪০-এর দশকে গানের জগতে প্রথম আবির্ভাব ঘটে লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar)।
একটা গান গাইতে লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) কত পারিশ্রমিক নিতেন?
তাঁর মৃত্যুর পর ভারতীয় সংগীত জগতে এক অধ্যায়ের অবসান ঘটে। দীর্ঘদিনের কেরিয়ারে একাধিক উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছেন তিনি। ভারতীয় সংগীত জগতকে নানান ওঠাপড়ার মধ্য দিয়ে যেতে দেখেছেন এই ভারতীয় নাইটেঙ্গেল। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে তিনিও একাধিকবার বদলে ফেলেছেন নিজেকে। তাঁর কোকিল কন্ঠী গানের গলা যে কোন নায়িকার কন্ঠে হয়ে উঠতো আশীর্বাদ। তখনকার দিনের গায়িকাদের নতুন পথ দেখিয়েছিলেন লতাজি।
বিশেষ করে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতোই বিনোদন জগতেও সব সময় বেশি গুরুত্ব পেত ছেলেরা। আর এতেই ঘোরতর আপত্তি তুলেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। তিনি প্রশ্ন তোলেন কেন শুধু গায়কদের কদর করা হবে? গায়িকারা কেন নয়? গায়ক-গায়িকাদের মধ্যে পারিশ্রমিকের আকাশ পাতাল পার্থক্য নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। তাই গায়ক-গায়িকাদের পারিশ্রমিকের এই ভেদাভেদ ঘুচিয়ে দিতে সেই সময় দাঁড়িয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। জানা যায় প্রাথমিকভাবে একটা গান গাইতে ২০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিতেন তিনি।
যা পরবর্তীকালে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৫০ টাকা। তবে যদি তিনি নিজের জীবদ্দশার শেষের দিকেও গান গাইতেন তাহলে তাঁর পারিশ্রমিক প্রত্যেক গান পিছু এক থেকে দুই লক্ষ টাকা হতে পারত। কিন্তু বয়সের ভারে শেষের দিকে গান গাওয়াই ছেড়ে দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকার ইন্ডিয়া টুডে’র রিপোর্ট অনুযায়ী এই লতা মঙ্গেশকরই হলেন প্রথম যিনি মহিলাদের যোগ্য পারিশ্রমিক নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন : জিতের ছেলের জন্মদিনে বেবি বাম্প ঢেকে হাজির কোয়েল! ফিরল অনুরাগীদের পুরনো নস্টালজিয়া
তিনিই প্রথম যোগ্যতা অনুযায়ী পারিশ্রমিক দাবি করেছিলেন। তবে বহু বছর নতুন কোন গান না গাইলেও গানের চর্চার থামেনি লতা জির। একটা বয়স পর্যন্ত চুটিয়ে কনসার্টে গান গাইলেও পরে তিনি নিজে থেকেই গানের কনসার্ট করা কিংবা নতুন কোনো গান গাওয়া থেকে সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে বয়স বাড়লেও অদ্ভুত ভাবে তাঁর গলার মিষ্টিতা কমেনি এক ফোঁটাও।
কিন্তু বয়স বেড়ে যাওয়ায় গান গাওয়ার সময় আর দম ধরে রাখতে পারতেন লতাজি। তাই তিনি স্বেচ্ছায় সরে এসেছিলেন কনসার্টে গান গাওয়া থেকে। তবে যখনই তিনি কোনো গান গেয়েছেন সেই গানকে তিনি বরাবরই এক অন্য মাত্রা দিয়েছেন। তার গলার কারুকার্যে বারবার মুগ্ধ হয়েছেন সকলেই।