লাগবেনা কোন অতিরিক্ত টাকা, কলকাতায় বাড়ি তৈরিতে বড় ছাড়! বিরাট ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ১ থেকে ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে পুরনো কলকাতায় বাড়ি করলে ক্যালকাটা ইম্প্রুভমেন্ট ট্রাস্টকে দিতে হবে ফি। দীর্ঘদিন ধরে এটাই ছিল নিয়ম।আর সেই টাকা নাকি যেত কেএমডিএ-এর পকেটে। এদিকে আবির ১০১ থেকে ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে কোন টাকাই লাগতনা। এতদিন ধরেই এই বৈষম্য দেখে দেখে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন সাধারণ মানুষ। অবশেষে গতকাল বিধানসভায় পাশ হল এক সংশোধনী বিল।

জানা যাচ্ছে এই বিল পাশ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ১০ টি ওয়ার্ডে বাড়ি করতে গেলে দিতে হবেনা কোন আলাদা ডেভলপমেন্ট ফি। উল্লেখ্য, কলকাতা শহরে বাড়ি তৈর বা সংস্কার করার সময় ডেভেলপমেন্টাল ফি দিতে হয়। পুরোন কলকাতার ক্ষেত্রে এই নিয়মটা ছিল একটু ভিন্ন। সেক্ষেত্রে বাড়তি টাকা দিতে হত ক্যালকাটা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টকে। তবে এবার আর সেই বৈষম্য রইলনা।

এবার থেকে ১১-১৪৪ নং ওয়ার্ডে বাড়ি করতে গেলে যে ফি দিতে হবে, ১ থেকে ১০ নং ওয়ার্ডে বাড়ি তৈরিতেও ঐ একই টাকা দিতে হবে। এতে করে পুরোনো কলকাতায় বাড়ি তৈরির খরচ একটু হলেও কমবে বলেই মনে করছে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পৌর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। উল্লেখ্য, রাজ্য বিধানসভায় এই সংশোধনী বিলের সমর্থন জানিয়েছে শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষের বিধায়করাই। বিজেপিও বিষয়টিতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।

পাশাপাশি ঠিকা জমির লিজ ডিড দেওয়াও শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। গত শুক্রবারই দুই ব্যক্তির হাতে লিজ ডিড তুলে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে তারা চেতলা ও শ্যামবাজারের বাসিন্দা। গতকালও প্রায় ১৪ জনের হাতে ঠিকা জমির লিজ ডিড তুলে দেওয়া হয়। এইদিন উপস্থিত ছিলেন কন্ট্রোলার সোমনাথ দে, ডেপুটি ঠিকা কম্পট্রোলার সুরজিৎ চন্দ্র।

97032834.cms

জানা যাচ্ছে, ঠিকা জমির লিজ ডিডের জন্য প্রায় ৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। বিষয়টিকে ঠিকঠাক পরিচালনা করার জন্য একটি ঠিকা সেল গঠন করেছে পুরসভা। জানা যাচ্ছে, দিন ১৫-র মধ্যেই ঠিকা জমির লিজ ডিডের পাশাপাশি ঠিকা মিউটেশন মিলবে। ১৫ দিনের মধ্যে ঠিকা টেনেন্ট বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন-ও মিলবে বলে খবর। এদিকে আপনি যদি ঠিকা প্রজা হন তাহলে পৌরনিগনের আইনে বাড়ি তৈরি করতে অনুমতি পাবেন ১৫ দিনের মধ্যে।

ad

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর