বাংলা হান্ট ডেস্ক : গোটা দুনিয়াটাই এখন মুঠোফোনে বন্দী। ঠিক যেন অনেক বছর আগে সত্যজিৎ রায়ের দেখানো, ‘ভূতের রাজা দিল বর’-এর মতো। এখনকার এই অনলাইন ডেলিভারির (Online Delivery) যুগে এক ক্লিকেই হাতের মুঠোয় হাজির হয় গোটা দুনিয়া। শুধু বাড়ির দরজা খোলার অপেক্ষা, বাড়ির বাইরেও পা রাখার দরকার হয় না।
অনলাইন ডেলিভারি (Online Delivery) কর্মীদের দৈনিক আয় কত?
দরজা খুললেই মনপসন্দ জিনিস নিয়ে হাজির হয় জম্যাটো, সুইগি, কিংবা ব্লিঙ্কিট। এছাড়াও রয়েছে এমন আরও শতাধিক অ্যাপ। যেখানে যখন খুশি, যা খুশি অর্ডার করলেই ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই ডেলিভারি কর্মীরা এসে হাজির হয় বাড়ির দোরগোড়ায়। বিশেষ করে করোনা কালে লকডাউনে গৃহবন্দি থাকার সময় থেকেই এই সমস্ত অ্যাপের প্রচলন অনেক বেড়ে গিয়েছে।
সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে এই অনলাইন ডেলিভারি (Online Delivery বিজনেসের মাধ্যমে এই সমস্ত অ্যাপগুলি বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা উপার্জন করে চলেছে। কিন্তু যারা প্রতিনিয়ত এসে হাজির হচ্ছে আমার-আপনার দরজার দরজার সামনে, সেই সমস্ত ডেলিভারি বয়দের উপার্জন কত জানেন?
সম্প্রতি সবাইকে অবাক করে দিয়েছে বোরজো নামক একটি সমীক্ষার চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেখানে দেখা গিয়েছে, ভারতে যে যারা অনলাইন ডেলিভারির (Online Delivery) কর্মী হিসাবে কাজ করছেন, তাঁদের মধ্যে ৭৭.৬ শতাংশ কর্মীর বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষ টাকার নীচে। অর্থাৎ তারা প্রতিদিন ৭০০ টাকারও কম পারিশ্রমিক পান।
আরও পড়ুন : ভারতীয় রেল দিচ্ছে সুবর্ণ সুযোগ! কম পুঁজির এই ব্যবসা করলেই হবে ‘বাম্পার আয়’
আমাদের দেশের মোট ৪০টি শহরে কর্মরত জ়োমাটো, সুইগি, অ্যামাজন ও উবারের প্রায় ২ হাজারেরও বেশি ডেলিভারি কর্মীর উপর সমীক্ষা করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। তবে এঁদের মধ্যে প্রায় ৬১ শতাংশ কর্মী আয়কর সীমা কত তা জানেন না। যারা আইটিআর ফাইল করেন, তাদের মধ্যেও মোট ৬৬ শতাংশ কর্মী জিরো রিটার্ন দাখিল করেছেন।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে মাত্র ২৪ শতাংশ পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফে টাকা জমান। তবে তা ১ হাজার থেকে ৩ হাজারের মধ্যেই। এছাড়া মাত্র ২৩ শতাংশ ডেলিভারি কর্মী মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন।অন্যদিকে ২৬ শতাংশ কর্মী সরাসরি স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করেন। তবে জানলে অবাক হবেন ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে মোট ৬২ শতাংশেরই কোনও জীবনবিমাও নেই।