সিঙাড়া দেখলেই জিভে জল! বলতে পারবেন এর ইংরেজি নাম?

বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রত্যেকদিন দুপুরবেলায় যে যতই ভর পেট খাক না কেন দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই  সবার মধ্যে একটা আলাদাই ‘ফুড ক্রেভিং’ কাজ করে। বিশেষ করে এই সময়টা মুখরোচক ভাজাভুজি খাবার হলে জাস্ট জমে যায়। তাই বিকেলবেলায় এক কাপ চায়ের সাথে কেউ চপ মুড়ি নিয়ে বসেন  আবার কেউ খেতে ভালোবাসেন সিঙাড়া (Singara)। 

সিঙাড়াকে (Singara) ইংরেজিতে কি বলে?

এই বর্ষাকালে গরম তেলে ভাজা মুচমুচে সিঙাড়া (Singara) খেতে কার না ভালো লাগে!  বিশেষ করে ভোজন রসিকদের কাছে সিঙাড়ার (Singara) মতো মুখরোচক খাবারের জুড়ি মেলা ভার। বাংলায় যা আমাদের কাছে সিঙাড়া নামে পরিচিত হিন্দিতে তাকেই সামোসা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু স্বাদের দিক থেকে এই সিঙাড়া আর সামোসা কি একই জিনিস?

উত্তরটা হল ‘না’। আসলে সিঙাড়া আর সামোসা খেতে একেবারে আলাদা। কিন্তু সে প্রসঙ্গ থাক। তবে অনেকেই হয়তো জানেন শুধু আমাদের ভারতবর্ষেই নয়, এই সিঙাড়া মুখরোচক খাবার হিসেবে অন্যান্য দেশেও কিন্তু সমান জনপ্রিয়। সবচেয়ে মজার বিষয় হল যে সিঙাড়া খাওয়ার জন্য ভারতীয় ভোজন রসিকরা পাগল, তা কিন্তু আদতে ভারতের খাবারই নয়। আসলে এটি একটি ইরানীয় খাবার।

সেখানে সিঙাড়া সাম্বোসা নামে পরিচিত। সুদূর মিশন, লিবিয়া হয়ে এই খাবার এসেছিল এশিয়াতে। যা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত কোথাও সানবুসাক এবং সানবুসাজ নামেও পরিচিত।  বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন মুঘলদের হাত ধরেই এই খাবার এসেছিল ভারতবর্ষে।

আরও পড়ুন :  ‘জয়ী’ থেকে ‘নীলু’! নায়িকা খলনায়িকা হওয়ার অনুভূতি কেমন? মুখ খুলেন দেবাদৃতা

এখন সিঙাড়ার  ভিতরে পুর  হিসেবে বাদামের সাথে আলু দেওয়া হলেও আগে কিন্তু সিঙাড়ার মধ্যে পুর হিসাবে  থাকতো মাংসের কিমা। জানলে অবাক হবেন মুখরোচক খাবার হিসেবে সিঙাড়া এতটাই জনপ্রিয় এই সিঙাড়ার জন্যই বরাদ্দ রাখা রাখা হয়েছে গোটা একটা দিন। তাই প্রত্যেক বছর ৫ সেপ্টেম্বর পালিত হয় বিশ্ব সামোসা  দিবস।

Samosa 3

তবে  কেউ কি কখনো ভেবে দেখেছেন সবার এত প্রিয় খাবার সিঙাড়া যা হিন্দিতে সামোসা নামে পরিচিত ইংরেজিতে তাকে কী বলা হয়? হাতের কাছে গরম গরম সিঙাড়া পেলে এসব কথা ভাবার সময় থাকে না যদিও, তবুও জেনে রাখা ভালো আমাদের দেশের অতি পরিচিত মুখরাচোখ খাবার সিঙ্গারাকে ইংরেজিতে Rissole নামে পরিচিত।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর