বাংলা হান্ট ডেস্ক: বছরভর বাজারে হরেক রকম ফল পাওয়া গেলেও গরম কাল আসলেই বাঙালি অপেক্ষায় থাকে একটাই ফলের। তা হল আম (Mango)। তাই সাধেই কি আর আমকে ফলের রাজা বলা হয়! আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হরেক রকম আম পাওয়া যায় যার মধ্যে প্রত্যেকটি রং এবং স্বাদের জন্য প্রত্যেকের দেখে আলাদা।
তাছাড়া আমের-ও একাধিক ভাগ আছে। তা সে হিমসাগর হোক কিংবা কাঁচা মিঠে,গোলাপ খাস হোক কিংবা ফজলি প্রতিটি আমই স্বাদে-গন্ধে একে অপরকে টেক্কা দেয় হামেশাই।তাই গরম-কাল নিয়ে বাঙালির যতই ভুরিভুরি অভিযোগ থাকুক না কেন পছন্দের আম খেতে পারলে কিন্তু নিমেষেই ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায় সমস্ত ক্লান্তি।
তাছাড়া আম খাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। কারণ আমের মধ্যেই থাকে ভিটামিন ফাইবার ক্যালশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম,পটাশিয়াম এবং ফসফরাসের মতো একাধিক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। যা শরীর সুস্থ রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে ৯৯% মানুষই জানেন না বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমি কোনটি?
জানলে অবাক হবেন এই বিশ্ব বিখ্যাত এক-একটি আমের দাম নাকি ১০ হাজার টাকা। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের ধারওয়াড়ে বসেছে আমের মেলা। সেখানেই সকলেই ভিড় জমাচ্ছেন এই বহু মূল্যবান আম দেখার জন্য।পৃথিবীর সবচেয়ে দামি এই আমের নাম হলো মিয়াজাকি (Miyazaki)। তবে এই আমের জন্ম কিন্তু আসলে জাপানে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি পড়তেই বাংলায় ঢুকল বাংলাদেশের ইলিশ, দাম কত, জেনে ছ্যাঁকা খাবেন
জানা যাচ্ছে জাপানের মিয়াজাকি শহরেই পাওয়া যায় সবচেয়ে দামি এই আম। তবে ভারতীয় জলবায়ুতেও এই আমের চাষ করতে খুব একটা অসুবিধা হয় না। জানলে অবাক হবেন প্রত্যেক মরসুমে এই আম গাছে সর্বোচ্চ ১৪ টি আম ফলে থাকে। বিরল প্রজাতির এই আমের রং হয় লাল। আর তার ওপরেই থাকে বেগুনি আভা। অসাধারণ সুন্দর দেখতে এই আমের এক-একটির ওজন হয় ২০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম।
লাল টুকটুকে রঙের জন্য অনেকের কাছে এই আম ‘সূর্যের ডিম’ নামেও পরিচিত। তবে জানা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে এই আমটি প্রতি কেজি তিন লক্ষ টাকা দরে বিক্রি হয়। মহারাষ্ট্রের কালাকেরি গ্রামের প্রমোদ গাঁওকর নামের এক বাসিন্দা নিজের বাগানে এই আম ফলিয়েছেন। ২০১২ সালে এই গাছ লাগানোর পর থেকে এই আম বিক্রি করেই এখন তিনি লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন। তবে বাংলার বীরভূমেও এখন এই আমের চাষ হচ্ছে।