নিজের টাকায় সাহায্য করেন গরিবদের! বাঙালি এই পুলিশ অফিসারের কাহিনী শুনলে গর্ব হবে আপনারও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অর্থ আর ক্ষমতার প্রলোভন মানুষকে অন্ধ করে দেয়। মানুষ ভুলে যায় মনুষ্যত্ব। সেখানে একেবারে স্রোতের বিপরীতে হাঁটেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার পুলিশ অফিসার বৈদ্যনাথ বর্মন (Baidyanath Barman)। দরদী এই পুলিশ অফিসার (Police Officer) নিজের মাইনের টাকা দিয়েই এলাকার সমস্ত অসহায় দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটান। সময়ে-অসময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সারাক্ষণ আগলে রাখেন এই বৈদ্যনাথ স্যার।

তাই তাঁর মতন ভগবানতুল্য একজন অফিসার পেয়ে ধন্য এলাকার মানুষজন-ও। এই বৈদ্যনাথ বাবুর মতো এমন সৎ ও নিষ্ঠাবান একজন পুলিশ অফিসারকে দেখে মনে হয় সত্যিই পৃথিবীতে এখনও ভালো মানুষ রয়েছেন। এলাকায় কারও কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হলে মুহূর্তের মধ্যেই সশরীরে হাজির হয়ে যান তিনি। তাই নিজের এলাকার আট  থেকে আশি সকলের কাছেই এক কথায় মুশকিল আসান এই পুলিশ অফিসার।

এখনকার দিনের সংবাদপত্রে পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে হামেশাই উঠে আসে নানান অভিযোগের কাহিনী। কারো বিরুদ্ধে রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের কেনা গোলাম হয়ে থাকার অভিযোগ ওঠে, তো কারও নামের পাশে জুড়ে যায় ‘ঘুষখোর’ তকমা। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়ে প্রকৃত অর্থেই একজন সৎ পুলিশ অফিসার হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ডিপার্টমেন্টের গর্ব এই বৈদ্যনাথ বর্মন।

আরও পড়ুন: এক চালেই বাজিমাত করবে RBI! নতুন ‘সিস্টেম’ এনে ‘খপ’ করে ধরবে স্কামারদের

আজ পর্যন্ত তাঁর কাছে সাহায্য চেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়নি কাউকেই। তাই কোন বয়স্ক লোক অসুস্থ হোক, কিংবা কারো চিকিৎসার জন্য টাকা দরকার হোক অথবা বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ সবটাই বরাবরই হাসিমুখে সামলে দিয়েছেন তিনি। এমনকি নিজের মাইনে থেকেও  প্রয়োজন হলে দিয়ে দিয়েছেন অনেকের চিকিৎসার খরচ। তাই যারা ভাবেন পুলিশ মানেই ঘুষখোর তাদের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছানো দরকার এই বৈদ্যনাথ বর্মনের মত পুলিশ অফিসারের জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের দৃষ্টান্ত।

police 1

তাঁর কথা প্রথমবার আলোচনায় আসে গত বছরের নভেম্বর মাসে। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে আরও একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের এই বৈদ্যনাথ স্যার। তাই পুলিশ সম্পর্কে বহু মানুষের যে ভুল ধারণা রয়েছে তা দূর করার জন্য আরও বেশি করে আলোচনায় উঠে আসা প্রয়োজন এই বৈদ্যনাথ বাবুর মত পুলিশ অফিসারের কাহিনী।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর