বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাঙালির কাছে আজও মহানায়ক একজনই, তিনি হলেন উত্তম কুমার (Uttam Kumar)। রুপোলি পর্দায় উত্তম-সুচিত্রা মানেই ক্লাসিক সিনেমা। মৃত্যুর এত বছর পরেও দর্শকদের কাছে আজও এভারগ্রিন তাঁদের জুটি। একসাথে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন একাধিক জনপ্রিয় বাংলা সিনেমায়। পর্দার উত্তম-সুচিত্রা থাকলে আর কোন দিকে চোখ ফেরাতে পারতেন না দর্শক। তখনকার দিনের বাংলা সিনেমার শুটিংয়ের পরিবেশটাও ছিল একেবারে আলাদা। একথা বহুবার জানিয়েছেন তাঁরা।
শ্মশান থেকে আনা মালায় শুটিং করেছিলেন উত্তম কুমার (Uttam Kumar)
একথা বহুবার জানিয়েছেন তখনকার সময়ের বর্ষীয়ান অভিনেতা অভিনেত্রীরা। সেসময় শুটিং ফ্লোরে ঘটতো নানান মজার ঘটনা। তবে পঞ্চাশের দশকে উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত এক সিনেমার শুটিং-য়ে ঘটেছিল এক কেলেঙ্কারি কান্ড। স্বয়ং উত্তম কুমারকে (Uttam Kumar) শুটিং করতে হয়েছিল শ্মশান থেকে আনা ফুলের মালায়। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
সিনেমার নাম ‘হারানো সুর।’ আর সেই সময় শুটিং চলছিল এই সিনেমার বিখ্যাত গান ‘তুমি যে আমার’-এর। যদিও শুটিংয়ের সময় উত্তম কুমার (Uttam Kumar) নিজেও জানতেন না যে তিনি শ্মশান থেকে আনা মালায় শুটিং করছেন মহানায়িকার সাথে। আসলে এই মজার ঘটনা সিনেমার পরিচালক অজয় কর নিজে থেকে না জানালে আজ পর্যন্ত অজানাই থেকে যেত সবার।
কিন্তু কি এমন ঘটেছিল যার জন্য স্বয়ং উত্তম কুমারকে শ্মশানের মালায় শুটিং করতে হয়েছিল? আসলে সেই সময় টলিগঞ্জে স্টুডিও পাড়ার হাল ছিল একেবারে বেহাল। সন্ধ্যা হলেই রাস্তাঘাট হয়ে যেতে জনশূন্য। অন্ধকার রাস্তায় সারাক্ষণ শোনা যেত ঝিঁঝি পোকার ডাক। সত্যিই সেই পরিবেশ ছিল গা ছমছমে। এমনই এক সময় টালিগঞ্জের নিউ থিয়েটার্স স্টুডিওতে শুটিং চলছিল হারানো সুর সিনেমার সেই বিখ্যাত গানের।
আরও পড়ুন : ফিরছে পায়েল-তথাগত জুটি! নস্টালজিয়ায় ভাসছেন দর্শক, কোন চ্যানেলে আসছে নতুন মেগা?
কিন্তু শুটিং শুরুর আগেই ঘটে যায় বিপত্তি। গানের দৃশ্যে কি কি শট লাগবে? কি কি প্রপস লাগবে? সব ঠিক করা হয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে পরিচালক দেখেন দুটো মালার জায়গায় রয়েছে একটাই মালা। সেই মালা তিনি কার হাতে ধরাবেন তা ভেবেই তখন মাথায় হাত পরিচালকের। ভর সন্ধ্যায় সেসময় গাড়িও বিরাট সমস্যা ছিল। আশেপাশে খোলা ছিল না কোনো ফুলের দোকান।
তাই শেষ পর্যন্ত পরিচালক অজয় কর একজন ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন মালা জোগাড় করার জন্য। সেদিন কিছুক্ষণ পর মালা আসে ঠিকই, কিন্তু সেই মালা এসেছিল কেওড়াতলা মহাশ্মশান থেকে। পরে যদিও ভয়ে ভয়ে মহানায়ককে না জানিয়েই এই গানের শুটিং শেষ করেছিলেন পরিচালক। কিন্তু পরে তিনি ঘনিষ্ট মহলে দুঃখ করে বলেছিলেন, ‘আজও উত্তমকে জানাতে পারিনি সেদিন ওই গানের দৃশ্যে যে মালাটি তিনি পরেছিলেন সেটা আসলে কেওড়াতলা শ্মশান থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল।’ আসলে শুটিং ভেস্তে যাওয়ার ভয়েই সেদিন বাধ্য হয়েই তিনি মহানায়কের কাছে এই ঘটনা গোপন করেছিলেন।
ফিরহাদ হাকিমের কুমন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য! কুণাল বললেন ‘ওই বিপ অংশ…’