অদ্ভুত কাণ্ড! ৫০০ বছর হয়ে গেলো, তবুও এই একটি বই পড়ার ক্ষমতা কারোর হয়নি! বই জুড়েই রহস্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিশ্ব জুড়ে রহস্যের শেষ নেই। বলা যায়, রহস্যের আঁতুড়ঘর হচ্ছে পৃথিবী। আর এই রহস্যের সন্ধানে গবেষকরা যুগ যুগান্তর ধরে পথে নেমেছেন। তবে কিছু কিছু রহস্যের উত্তর পাওয়া গেলেও, আবার এমন কিছু রহস্য রয়েছে যার উত্তর এখনো পাওয়া যায় নি। তেমনি হচ্ছে একটি বই (Mysterious Book)। পুরো বইয়ের পরতে পরতে রয়েছে রহস্যের গন্ধ। পৃথিবীর এ এক এমন বই (Mysterious Book) যা পড়ার সাধ্য কারোর নেই। বড় বড় পড়াকুরাও এই বই (Mysterious Book) পড়তে অক্ষম।

কি আছে এই রহস্য বইতে (Mysterious Book)?

পাহাড়, পর্বত, রাজবাড়ি, মন্দির নিয়ে তো রহস্যের কথা সকলে শুনেছেন। কিন্তু এইসব ছাড়াও এমন একটি বই আছে যা মিস্ট্রিতে ভরপুর। বইটি আর সাধারণ পাঁচটা বইয়ের মতোই। তবে বইয়ের মধ্যে লেখা ভাষা যেনো একটু বেশি সুন্দর। আর এই ভাষাই বইয়ের রহস্য জটের মূল কারণ। এটি ঠিক কোন ভাষায় লেখা সেটা বলা দুষ্কর।

এর আগেও বিভিন্ন বইয়ের রহস্যোদ্ধার করতে বিজ্ঞানীদের কালঘাম ছুটে যায়। কিন্তু এই বইয়ের ভাষা এমন দেখলে মনে হবে ভিনগ্রহের শব্দ দিয়ে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। জানা যায় পুরো বইটাই হাতে লেখা।

আর এই হাতে লেখা বইয়ের নাম হচ্ছে ভয়নেচ ম্যানুস্ক্রিপ্ট। গবেষকদের অনুমান অনুযায়ী, এই বইটি ১৫ শতাব্দীতে লেখা হয়েছে। তবে বইটি কে লিখেছেন সে বিষয়ে এখনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এই বইটি ৫০০ বছর আগে লেখা হলেও, এই বই এখনো পর্যন্ত কেউ পড়ে উঠতে পারেননি। বইয়ের মধ্যে শুধু লেখাই নয়, ওই বইতে এমন কিছু ছবি দেওয়া রয়েছে যার আলোকপাত করাও অসম্ভব।

আরও পড়ুন : প্রতিদিন খান তিনটি ফল! কোলস্টেরল হবে নির্বংশ, ওজন কমবে ঝপাঝপ, বিশ্বাস নাহলে খেয়েই দেখুন!

বইয়ের মধ্যে এমন কিছু ফল, ফুল, গাছ, প্রাণীর সব ছবি দেওয়া যেগুলো বড়ই বৈচিত্র্যময়। পৃথিবীতে নাকি এইসবের কোন অস্তিত্ব নেই বলে জানা গিয়েছে। আর সেই থেকেই রহস্য আরো ঘনীভূত হতে শুরু করে। বইয়ের ২৪০ খানা পাতা অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেলেও, অন্যান্য সব পাতা হারিয়ে গিয়েছে। তবুও অনুমান করা হয়, জ্যোতির্বিদ্যা-সংক্রান্ত, জীব বিজ্ঞানসংক্রান্ত, মহাজাগতিক এবং সেই সময়ের ভেষজ গাছ-পালা নিয়েই এই বই লেখা।

Mysterious Book

  • বইয়ের চর্চা শুরু হয়:

মাঝখানে এই বইয়ের চর্চা কমে গেলেও, ১৯১২ সালে পোল্যান্ডের এক বই বিক্রেতা এই পান্ডুলিপিটি কেনেন। আর সেই বই বিক্রেতার নাম ছিল উইলফ্রিড ভয়েনেচ। জানা যায় পান্ডুলিপি ক্রয় করার জন্য বিক্রেতার নাম অনুসারে এই বইয়ের নামকরণ হয় ভয়নেচ। আর সেই থেকেই ফের এই বই নিয়ে চর্চা শুরু। তবে আজও পৃথিবীর অন্যতম রহস্য বই হয়ে দাঁড়িয়েছে ভয়েনেচ পান্ডুলিপি।


Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর