বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির ঘুরতে (Travel) যাওয়ার জন্য আলাদা করে কোন মরশুমের দরকার হয় না। তাই ইদানিং প্রায় সারা বছর ধরে পর্যটন কেন্দ্র (Tourist Spot) গুলিতে আনাগোনা লেগেই থাকে পর্যটকদের (Tourist)। তবে বর্ষার পাহাড়ি এলাকায় ধস নামার কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের আনাগোনা খানিকটা হলেও কম থাকে। আর ইদানিং সকলের মধ্যেই বাড়ছে অফবিট ডেস্টিনেশনে যাওয়ার হিড়িক।
পুজোয় ঘুরতে (Travel) যান এই অফবিট ডেস্টিনেশনে
শহরের ব্যস্ত জীবন কিংবা কংক্রিটের জঙ্গল থেকে দূরে নিরিবিলিতে সময় কাটানোর জন্যই সবাই ঘুরতে (Travel) আসেন পাহাড়ের কোলে। আর সামনেই আছে দুর্গাপুজো। আর এখন এই পুজোর ছুটিতেও শহরের ভিড় ঠেলে বাঙালি এখন অনেক বেশি পাহাড় মুখী। তাই এখন থেকেই টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে হোটেলের রুম বুকিং সবকিছু নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাপক তোড়জোড়।
এখন সকলেরই নজর শান্ত-নিরিবিলি পাহাড়ের দিকে। তাই আজ আপনাদের জানাবো এমনই এক দুর্দান্ত অফবিট লোকেশন সম্পর্কে। এখানে এলেই যেদিকে দুচোখ যাবে সেদিকেই শুধু দেখা যাবে সবুজ আর সবুজ। পাহাড়ের কোলে সারি সারি পাইন গাছের মধ্যে দিয়েই এঁকেবেঁকে উঠে গিয়েছে কালো পিচ ঢালা রাস্তা। সেই পথ চলাতেই যেন আনন্দ। তাই ভালোবাসার পাহাড়ের ডাকে সাড়া দিলে নিমিষেই যেন দূর হয়ে যায় সমস্ত ক্লান্তি।
আর এই কারণেই ব্যস্ত জীবন থেকে সাময়িক অবসর কাটাতে চাইলে এই পুজোয় ঘুরতে (Travel) আসতেই হবে ডুয়ার্সের সবুজ সুন্দরী নিম বস্তিতে। এই নিমবস্তি একটি ছোট্ট পাহাড়। এখানকার মনোরম পরিবেশ, শীতল বাতাস মন ছুঁয়ে যাবে পর্যটকদের। এই নিমবস্তি পাহাড়ি এলাকাতে গেলেই দেখা যাবে চারপাশে সাজানো রয়েছে ছবির মত ছোট ছোট পাহাড়ি গ্রাম।
আরও পড়ুন: মিউচুয়াল ডিভোর্সের পর আবার বিয়ে করা যায়! কী বলছে হাইকোর্ট?
সেই সাথে রয়েছে সারি সারি সবুজ চা বাগানের অপরূপ দৃশ্য। কিন্তু কি ভাবছেন কিভাবে পৌছাবেন এই অচেনা নিম বস্তিতে? আসলে জায়গার নামটা অচেনা হলেও এখানে পৌঁছানোর রাস্তা কিন্তু অনেকেই চেনেন। আসলে এখানে পৌঁছানোর জন্য মালবাজার থেকে গরুবাথানের রাস্তায় আপার ফাগু হয়ে ঝান্ডির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে।
গরু বাথান থেকে ৩০ মিনিটের রাস্তা ধরে উপরে উঠলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে ডেস্টিনেশন নিম বস্তিতে। এই নিমবস্তি অনেকের কাছেই ছোটা ঝন্ডি নামেও পরিচিত। এখানে থাকার থাকা খাওয়ার জন্য রয়েছে হোমস্টে। সেখানে খরচ হবে মাথাপিছু, ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা।