বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতবর্ষ মানেই নদীমাতৃক দেশ। আমাদের দেশের প্রতিটি প্রান্তে শিরা-ধমনীর মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে একাধিক নদ-নদী আর তার শাখা-প্রশাখা। ভারতীয় সমাজে নদী দেবীরূপেও পূজিত হয়। মুখী। আমাদের দেশের এমনই একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন নদী হল নর্মদা (Narmada River)।
সাধারণত অধিকাংশ ভারতীয় নদী পূর্বমুখী হলেও এই নদীটি পশ্চিম নর্মদা নদী (Narmada River) তার স্রোতের বিপরীতে পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে আরব সাগরে পড়ে। অমরকণ্টক মালভূমি থেকে উৎপন্ন এই নদীটি আমাদের দেশের অন্যান্য নদীগুলির তুলনায় বেশ আলাদা। ভারতের দুটি বড় রাজ্য মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাটের প্রধান নদী নর্মদা।
এই নদীর উৎসস্থল মাইখাল পর্বতের অমরকণ্টক চূড়া। এই নদীকে মধ্য ভারতের ‘লাইফ লাইন’ বলা হয়। নর্মদা নদী তার স্রোতের বিপরীতে পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে আরব সাগরে পড়ে। কিন্তু কেন?আসলে এর পিছনে ভৌগোলিক কারণের পাশাপাশি রয়েছে বেশ কিছু ধর্মীয় বিশ্বাস।আসলে নর্মদা নদীর বিপরীত প্রবাহের পিছনে যে ভৌগলিক কারণ রয়েছে তা হল রিফ্ট ভ্যালি।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! রথের রশি টানতে গিয়েই সব শেষ! পুরীতে শ্বাসরূদ্ধ হয়ে মৃত ১, হাসপাতালে ঠাঁই ৩০০ জনের
এই রিফ্ট ভ্যালির ঢাল রয়েছে বিপরীত দিকে। এই কারণেই নর্মদা নদীটি পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে আরব সাগরের এসে মিশেছে। নর্মদা নদী তার উৎস থেকে ১,৩১২ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে আরব সাগরের খাম্বাত উপসাগরে মিশেছে। কেউ কেউ আবার, এর পেছনে এক ধর্মীয় কারণের কথাও উল্লেখ করে থাকেন।
বহু মানুষের বিশ্বাস, নর্মদা নদীর স্রোতের বিপরীতে প্রবাহিত হওয়ার পেছনে রয়েছে একটি পৌরাণিক কাহিনী। পুরনো জনশ্রুতি অনুসারে, সোনভদ্রের সঙ্গে নর্মদা নদীর বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল, কিন্তু নর্মদার বন্ধু জোহিলার কারণে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। আর এই কারণেই নাকি নর্মদা নদী সারাজীবন অবিবাহিত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। আর এই কারণেই চিরকাল স্রোতের বিপরীতে প্রবাহিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নর্মদা নদী।