হিন্দুরাই একদিন সংখ্যালঘু হয়ে যাবে! ধর্মান্তকরণ নিয়ে বিরাট পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের, শোরগোল

   

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ধর্মান্তকরণ অত্যন্ত সেনসিটিভ একটি ইস্যু। বিগত কয়েকদিন ধরে শিরোনামে রয়েছে এই বিষয়টি। রাজ্যে ধর্মান্তকরণের ঘটনা সামনে আসায় জনগণের মনেও শঙ্কা জন্ম নিয়েছে। এবার এই ইস্যুতেই বিরাট মন্তব্য করল হাই কোর্ট (High Court)। উচ্চ আদালতের একটি মন্তব্যে কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্যে।

সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের হামিরপুর জেলায় মৌদহ গ্রাম নিবাসী কৈলাস নামক এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের (Religious Conversion) অভিযোগ ওঠে। সেই জল গড়ায় হাই কোর্ট অবধি। গ্রামের একদল হিন্দুকে দিল্লির একটি ধর্মসভায় নিয়ে গিয়ে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করার অভিযোগ উঠেছে কৈলাসের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) করেন রামকলি প্রজাপতি নামের একজন ব্যক্তি।

রামকলির অভিযোগ, তাঁর মানসিকভাবে অসুস্থ ভাইকেও নাকি অর্থ দিয়ে ধর্মান্তকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এবার তাঁর সেই এফআইআরের বিরুদ্ধেই এলাহাবাদ হাই কোর্টে (Allahabad High Court) মামলা হয়। মামলা হতেই অভিযুক্ত কৈলাস জামিনের আর্জি জানান। তবে বিচারপতি রোহিতরঞ্জন আগরওয়াল সেই আবেদন খারিজ করে দেন।

আরও পড়ুনঃ ১৮২৯ জনের…! পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়, চার্জশিটে অয়নের ‘কীর্তি’ ফাঁস করল CBI

সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অবৈধ ধর্মান্তকরণ আইন ২০২১ ৩/৫ (১) ধারা অনুসারে, কৈলাসের জামিনের আর্জির শুনানি হয়। একইসঙ্গে ওই মামলায় হাই কোর্ট স্পষ্ট জানায়, ধর্মপ্রচার মানে হল অন্যের কাছে নিজের ধর্ম পৌঁছে দেওয়া। এর অর্থ মোটেই ধর্মান্তকরণ নয়। আদালত বলে, সাধারণ মানুষের আর্থিক অনটনের সুযোগ নিয়ে রাজ্যের বহু গ্রামে হিন্দু ধর্মের মানুষদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করার কাজ করা হচ্ছে।

মামলার শুনানি চলাকালীন সংবিধানে উল্লিখিত স্বাধীন ধর্মাচরণের কথা উল্লেখ করে হাই কোর্ট বলে, এদেশের প্রত্যেক নাগরিক যে কোনও ধর্ম, ঈশ্বরের পূজা, সাধনা করতে পারেন। এমনকি শর্তসাপেক্ষে নিজের ধর্মমতের প্রচার করা যায়। তবে ধর্মান্তকরণ বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন।

Allahabad High Court

কৈলাসের বিরুদ্ধে আনা ধর্মান্তকরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারপতি স্পষ্ট বলেন, ‘এই প্রক্রিয়া যদি চলতে থাকে তাহলে একদিন সংখ্যাগরিষ্ঠরা সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে এই ধরণের ধর্মান্তকরণের কাজ বন্ধ করা উচিত’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর