বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে গোটা দেশজুড়ে ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকারে ব্যবহার প্রসঙ্গে একাধিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মহারাষ্ট্র থেকে উত্তর প্রদেশ এমনকি বাংলাতেও বিতর্কের সেই আঁচ এসে পড়েছে। মহারাষ্ট্রে বলপূর্বক বিভিন্ন মসজিদে লাউড স্পিকার বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারির পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশেও একাধিক লাউডস্পিকার সরানো নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি আর এর মাঝেই এদিন এদিন মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহারকে কেন্দ্র করে এক বড় রায় দিলো এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালত রায়ে জানিয়েছে যে, আজানের সময় মসজিদে লাউডস্পিকারের ব্যবহার কোন রকম মৌলিক অধিকারে পড়ে না। ফলে এদিন লাউডস্পিকার বন্ধ করার পক্ষেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন বাদাউনের বিসাউলি তহসিলের ধরনপুর গ্রামের নূরী মসজিদের মুতাওয়াল্লী ইরফানের তরফ থেকে একটি আবেদন করা হয়। সেখানে লাউডস্পিকার ব্যবহারের অনুমতি খারিজ করে দেওয়ার বিপক্ষে একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় আদালতকে বলা হয় যে, ‘মৌলিক অধিকারেরর দরুন ধর্মীয় স্থানে লাউড স্পিকার বাজানোর অনুমতি আমাদেরকে দেওয়া হোক।’ কিন্তু এদিন বিচারপতি বিবেক কুমার বিরলা ও বিচারপতি বিকাশের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি কালীন সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
এলাহাবাদ আদালত জানায় যে, আজানের সময় মসজিদে লাউডস্পিকার বা মাইক বাজানো কোনরকম মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না। এই সম্পর্কে কোনরকম ব্যাপার সংবিধানে উল্লেখ করা নেই। এদিন আদালত লাউডস্পিকার অনুমতি সংক্রান্ত মামলা শেষ পর্যন্ত খারিজ করে দেয়।
প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে লাউডস্পিকার নিয়ে বিতর্ক চলছে। মহারাষ্ট্রের নবনির্মাণ দলের নেতা রাজ ঠাকরে যেমন বলেছেন যে, যদি মসজিদে লাউডস্পিকার চালানো হয়, তাহলে তার দ্বিগুণ শব্দে হিন্দুরা হনুমান চালিশা চালিয়ে দেবে।
তাঁর এহেন বক্তব্যের পর গোটা রাজ্য জুড়ে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং বর্তমানে নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ পদক্ষেপও নিতে চলেছে। আবার অপরদিকে, উত্তরপ্রদেশে ধর্মীয় স্থানগুলিতে লাউডস্পিকার বন্ধের অভিযান শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে 50 হাজারের বেশি লাউডস্পিকার যেমন ধর্মীয় স্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, ঠিক তেমনি ভাবে 60 হাজারের ওপর মাইকের শব্দের মাত্রা কমিয়ে আনা হয়েছে। গতকালই মহারাষ্ট্রের 26 টি মসজিদের ধর্মীয় নেতারা মিলে সকালে আজানের সময় লাউডস্পিকার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।