সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে নবান্নে অভিযোগ! হঠাৎ কী হল? জোর শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুই সরকারি কর্মীর (Government Employees) বিরুদ্ধে সোজা নবান্নে অভিযোগ! জেলাশাসক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দফতর এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। খাতায় কলমে রাস্তা, নর্দমা সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে দেখালেও বাস্তবে কিছুই হয়নি! এভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে সরকারি (Government of West Bengal) টাকা। এবার এই নিয়ে দু’জন সরকারি কর্মী এবং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে নবান্নে অভিযোগ জানানো হল।

নবান্নে অভিযোগ জানাতেই শোরগোল (Government of West Bengal)!

সরকারি টাকা আত্মসাতের এই ঘটনা ঘটেছে বারাসাত ২ নং ব্লকের দাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের অধীন উত্তর বয়রা গ্রামে সরকারিভাবে রাস্তা, নিকাশি নালা তৈরি সহ বেশ কয়েকটি কাজের অর্ডার বের হয়। সেই জন্য ডাকা হয় টেন্ডার। এরপর নিয়ম অনুযায়ী বেশ কিছু ঠিকাদারকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়।

এদিকে সরকারি (Government of West Bengal) নিয়ম বলছে, রাস্তা এবং নিকাশি নালা নির্মাণ করলেই হবে না। তার পরিমাপ ও ছবি আপলোড করতে হবে। এখানেই কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ! ঢালাই করা অন্য রাস্তা এবং পুরনো নর্দমার ছবি আপলোড করা হয়। খাতায় কলমে দেখানো হয়, রাস্তা ও নিকাশি নালার কাজ হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ঠিকাদাররাও টাকা পেয়ে যান। তবে বাস্তবে কিছুই হয়নি।

আরও পড়ুনঃ ‘বেআইনিভাবে এই পোস্ট তৈরি হয়েছে’! বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট! কোন মামলায়?

সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই বিতর্কে নাম জড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) প্রধান মনিরুল ইসলামের। সেই সঙ্গেই অভিযোগ উঠেছে ব্লক এবং পঞ্চায়েত স্তরের দুই সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা করেছেন গ্রামবাসীরা।

Nabanna Government of West Bengal

জানা যাচ্ছে, গত ২৯ জানুয়ারি অডিটের সময় এই কারচুপির কথা জানাজানি হয়। এরপর পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও কিছু হয়নি। প্রশাসনের একেবারে সর্বোচ্চ স্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। জেলাশাসক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

এই বিষয়ে গ্রামবাসীরা বলছেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে সরকার (Government of West Bengal)। তবে কাজ না করে সেই টাকা লোপাট করে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বিডিও সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা সমগ্র বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। রিপোর্ট পেলেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই বিষয়ে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে একটি সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। অন্যদিকে বিজেপি নেতা তাপস মিত্র বলেন, যাদের নামে অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতা থাকলে সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিক।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর