বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ফের একবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। তার নামে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জির কাছে পাঠানোর বন্দোবস্ত করেছেন অভিযোগকারীরা। তার মধ্যে একটি চিঠি গিয়েছে পলাশিপাড়া বিধানসভা এলাকা থেকে। অন্য দু’টি তেহট্ট এবং করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের। যদিও প্রত্যাশিত ভাবেই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই বিধায়ক।
যে তিনটি চিঠি পাঠানো হয়েছে ওই তিনটি চিঠির মূল বক্তব্য পুরোপুরি না তার মূল কথা এক, যা হল, ‘বিধায়ক তাপস সাহার হাত হইতে আমাদেরকে বাঁচান’। পলাশিপাড়া থেকে প্রেরিত চিঠির অভিযোগ অনুযায়ী ২০১৬ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত বিধায়ক থাকাকালীন চাকরি দেওয়ার নাম করে তাপস সাহা ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন। কিন্তু তাও কারোর চাকরি হয়নি বলে দাবি অভিযোগকারীরা। টাকা ফেরত না পেলে আত্মহত্যা করার হুমকিও দিয়েছেন অভিযোগকারীরা। পলাশিপাড়া, তেহট্ট এবং করিমপুরের বিভিন্ন জনকে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে ১৬ কোটি টাকা তুলেছেন তাপস এমন অভিযোগ আছে বাকি চিঠিগুলিতে।
চাকরিপ্রার্থীরা দেওয়া টাকার হিসাবও জুড়ে দেওয়া হয়েছে অভিযোগকারীরা নিজেদের নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বরের সাথে। এক অভিযোগকারী জানিয়েছেন যে তারা ভয়ে বেশি কিছু বলতে পারছেন না। এখন তাদের দেওয়া ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ফেরত পেলেই শান্তি পাবেন তারা। অপর এক অভিযোগকারী পলাশিপাড়ার বাসিন্দা ভবেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘ এক দালালকে জমি-বাড়ি বিক্রি করে, বাড়ির মহিলাদের গয়না বন্ধক দিয়ে চাকরির জন্য ২ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। এখন দেখছি, চাকরি তো দূরের কথা, পয়সা পর্যন্ত ফেরত দিচ্ছেন না।’’ করিমপুর বিধানসভা এলাকায় একেন মণ্ডলের দাবি তার ছেলে আলমগির-সহ আরও কয়েক জনের চাকরি করে দেবেন বলে ৩৬ লাখ টাকা নিয়েছিলেন কিন্তু চাকরি হয়নি।
কিন্তু সাবলীল ভাবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে তাপস সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন ‘‘এই সব অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা পারলে প্রমাণ করুক। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তা হলে আমি বিধায়ক পদ এবং রাজনীতিও ছেড়ে দেব।’’