বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেখতে দেখতে শেষলগ্নে এসে হাজির চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে প্রথম পাঁচ দফার ভোট। এবার পালা শেষ দুই দফার। এই শেষ দুই দফায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ আসনে ভোট হতে চলেছে। এর মধ্যে অন্যতম হল বসিরহাট। তৃণমূল (Trinamool Congress) এবং বিজেপি, দুই দলই এই আসনে জেতার জন্য মরিয়া। সন্দেশখালি আন্দোলনের পর গোটা রাজ্যের নজর রয়েছে এই কেন্দ্রের দিকে।
বিজেপির তরফ থেকে বসিরহাটে (Basirhat) প্রার্থী করা হয়েছে সন্দেশখালির প্রতিবাদী গৃহবধূ রেখা পাত্রকে। অন্যদিকে নুসরত জাহানের পরিবর্তে এবার হাজি নুরুলকে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার বিকেলে জোড়াফুল প্রার্থীর সমর্থনে হাড়োয়ার আটপুকুর এলাকায় তৃণমূলের (TMC) তরফ থেকে দু’টি প্রচার মিছিল বেরোয়। তবে কিছু পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, ওই দুই মিছিলের মধ্যেই দ্বন্দ্ব লেগে গিয়েছে!
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এদিন আটপুকুর অঞ্চল থেকে আদি তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে একটি মিছিল বের করেন। অন্যদিকে বিহারী এলাকা থেকে নব্য তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা আরও একটি মিছিল নিয়ে বের হয়। দু’টি মিছিল বিহারী অঞ্চলে মুখোমুখি হতেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।
আরও পড়ুনঃ গরমের ছুটি শেষ! ভোট মিটতেই এদিন খুলবে রাজ্যের স্কুল! জানুন শিক্ষা দফতরের নয়া আপডেট
অভিযোগ, আদি তৃণমূলের লোকজন নব্য তৃণমূলের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। লাঠি-বাঁশ নিয়ে চড়াও হয় তাঁদের ওপর, বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকি একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়ে বলে অভিযোগ। দুই শিবিরের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে বাদানুবাদ হয় বলে খবর। এই ঘটনার জেরে প্রায় ৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে গণ্ডগোলের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে হাজির হয় হাড়োয়া থানার পুলিশ। তখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি ঠাণ্ডা হয়নি। শেষে পুলিশি তৎপরতায় আস্তে আস্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের দুই শিবিরের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এদিকে ভোটের মুখে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে তৃণমূল শিবির খানিকটা চাপে পড়তে পারে বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।