চাকদহে সর্ষের খেত থেকে উদ্ধার কিশোরীর রক্তাক্ত দেহ! খুনের কারণ নিয়ে রহস্য, চাঞ্চল্য এলাকায়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মায়ের পরকীয়ায় বাধা দেওয়াই কাল হয়ে দাঁড়ালো মেয়ের জীবনে? এক অমানবিক নৃশংস ঘটনার সাক্ষী রইল নদিয়া (Nadia)। অভিযোগ, বছর আঠেরোর মেয়ে বাবা মারা যাওয়ার পর এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে তার মার প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। প্রতিবাদ জানিয়েছিল সে। তবে ১৮ বছরের মেয়েকে (Girl) সেই প্রতিবাদের মাসুল দিতে হল নিজের জীবন দিয়ে। ছক কষে তাকে খুন (Murder) করল মায়ের প্রেমিক। ঘটনায় শোরগোল এলাকা জুড়ে।

ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদহের (Chakdaha) বিষ্ণুপুর খামারপাড়া এলাকায়। জানা গিয়েছে, বুধবার এলাকার একটি চাষের জমি থেকে লিপিকা মণ্ডল নামে সেই মেয়েটির ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রেমের রাস্তার কাঁটা রাস্তা উপড়ে ফেলতে পরিকল্পনা মাফিক মেয়েটিকে সর্ষে খেতে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।

প্রতিবেশীদের অভিযোগ, এই খুনের পেছনে লিপিকার মায়ের প্রেমিক সুজিত বিশ্বাসের হাত রয়েছে। সূত্রের খবর, ওই মেয়েটির বাবার মৃত্যুর পর থেকেই এলাকার বাসিন্দা সুজিতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তার মা। কিন্তু এই ঘটনা মেনে নিতে পারেনি মেয়ে লিপিকা। এই নিয়েই সংসারে মা-মেয়ের অশান্তি বেঁধেই থাকত। অভিযোগ, নিজেদের রাস্তা সাফ করতেই একজোটে মহিলা ও তার প্রেমিক মেয়েকে প্রেমের ছক কষেন।

পরিকল্পনা মাফিক বুধবার সকাল দশটা নাগাদ গ্রামেরই এক সর্ষে খেতে মেয়েকে নিয়ে যায় তাঁর মা। ওখানেই অপেক্ষা করছিল অভিযুক্ত যুবক সুজিত বিশ্বাস। এরপরই সর্ষে খেতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় লিপিকাকে। এরপর মেয়ের প্রাণটুকু শেষ হলে তাঁর দেহ ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত মা ও তার প্রেমিক।

murder

এরপর এলাকার মানুষজন মাঠে গিয়ে লিপিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পেয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাকদহ থানার পুলিশ। লিপিকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা লিপিকাকে মৃত বলে জানান। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মা ও তার প্রেমিক। শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর