বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাধারণত কুকুর প্রভু ভক্ত প্রাণী হিসেবে আমাদের সকলের কাছে পরিচিত। বাড়িতে হোক কিংবা রাস্তায়, চোর-ডাকাতকে শায়েস্তা করা থেকে অন্যান্য একাধিক কাজে কুকুর খুবই উপকারী প্রাণী হিসেবে বিবেচিত হয়। একাধিক ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন দৃশ্য দেখা যায় যেখানে একটি কুকুর পরম ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয় তার মালিককে। কিন্তু সেই প্রাণীর সাথেই সম্প্রতি এমন এক ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ির বুকে, যা দেখে গা শিউরে উঠেছে সকলের।
ধুপগুড়ি এলাকার সরকারি ইনস্পেকশন বাংলো চত্বরে একটি কুকুরকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। এহেন ঘটনা দেখে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরাই সেই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ দাবি করেছে যে, শনিবার বিকেল চারটের সময় তারা ডাক বাংলোর পিছনে একটি ঝোপের মধ্যে সেই ও অভিযুক্ত যুবক এবং একটি কুকুরকে দেখতে পায়। ঝোপের মধ্যে যুবকের দ্বারা কুকুরটিকে ধর্ষিত হতে দেখে তৎক্ষণাৎ সেই যুবককে পাকড়াও করে তারা এবং খবর দেওয়া হয় ধুপগুড়ি থানার পুলিশকে।
অভিযোগ পাওয়ার পরই শ্যামল দাম নামের অভিযুক্ত যুবককে থানায় ধরে নিয়ে যায় ধুপগুড়ি পুলিশ। পরবর্তীতে, স্থানীয় পশুপ্রেমী সংস্থার তরফ থেকেও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে খবর। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শ্যামলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায় যে, তার শারীরিক সমস্যা রয়েছে এবং রোগ মুক্ত থাকার জন্য সে সম্প্রতি এক কবিরাজকে দেখাতে যায়। সেই কবিরাজটি তাকে কুকুরকে ধর্ষণের নিদান দেয় বলে জানায় শ্যামল।
জানা যাচ্ছে, এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকার বুকে ঘটা বেশ কিছু বেআইনি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এর আগেও একাধিকবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলো। সরকারি ডাক বাংলো চত্বরে পূর্বেও একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপ চলার অভিযোগ ওঠে। জানা যাচ্ছে, রাতের বেলা কোন সরকারি গার্ড না থাকার ফলে সর্বদা খোলাই থাকে বাংলো চত্বর। আর এর ফলে দুষ্কৃতীদেরও যে নানান অসামাজিক কার্যকলাপ চালানো সহজ হয়ে দাঁড়ায়, সে বিষয়ে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে সম্প্রতি ধর্ষণের এই ঘটনাটি পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসার ফলে ভবিষ্যতে এই অসামাজিক কার্যকলাপ আদেও বন্ধ হয় কিনা, সে দিকে তাকিয়ে এলাকাবাসী।