বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে চলেছে শাসকদলের নেতাদের। ইতিমধ্যেই এই সকল ঘটনার জেরবার হয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস আর এবার তাদেরই এক প্রাক্তন ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে সরকারি জমি দখল করার অভিযোগ উঠলো। শুধু তাই নয়, সেই জমিতে দোকান তৈরি করার অভিযোগ আনল এলাকাবাসীরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিরোধীরা। অবশ্য পাল্টাও দিয়েছে তৃণমূল।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল দুর্গাপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল পার্টি অফিসের নিকটবর্তী স্থান। অভিযোগ, অফিসের পাশেই রয়েছে একটি সরকারি জমি আর তা দখল করে বেআইনিভাবে একের পর এক দোকান তৈরি করে চলেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি দেবাশিস আচার্য। ইতিমধ্যেই এলাকায় মোট আটটি দোকান তৈরি করা চলছে, তবে বর্তমানে এলাকাবাসীদের অভিযোগের কারণে সেই কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। এক এলাকাবাসীর মতে, “বর্তমানে দোকানগুলি তৈরি করার ফলে রাস্তা ক্রমশ ছোট হয়ে যাচ্ছে। আমরা অনেকবার বারণ করলেও কোন কথা শোনা হয়নি।”
বর্তমানে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর বিরোধীরা শাস দলকে আক্রমণ শানিয়েছে। সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় বলেন, “জমি দখল করে যদি তোলাবাজি করে, তবেই তো সে তৃণমূল নেতা।” যদিও বিরোধীদের সকল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্বয়ং দেবাশিস আচার্য। বেআইনি জমি দখল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই সকল অভিযোগের কোন মানে হয় না। একদা রাস্তার জন্য জমি প্রদান করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে আমাদের ক্লাব সেই স্থানটিকে মাটি দিয়ে ভরিয়ে দেয় আর এখন আমি এলাকার বেকারদের জন্য কিছু একটা করতে চাইছি। তাই নিজে থেকে টাকা দিয়ে এই দোকানগুলি বানাচ্ছি। এর মধ্যে কোনরকম অন্যায় নেই।”
তবে এই প্রসঙ্গে ভিন্ন সুর দেখা গিয়েছে দলীয় নেতৃত্বের গলায়। দুর্গাপুর পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমস্ত ঘটনার উপর আমাদের নজর রয়েছে।”