গরুচোর দাদাকে পেটানোর শাস্তি! মেরে চার গ্রামবাসীর হাত-পা ভেঙে দিলেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চুরির দায়ে উপপ্রধানের দাদাকে মারধরের অভিযোগ! পাল্টা প্রতিশোধ নিতে গ্রামবাসীর ওপর আক্রমণের অভিযোগ উঠল উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে। আক্রমণের জেরে ৪ গ্রামবাসীর হাত-পা ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ  স্থানীয় উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির (Hooghly) ধনিয়াখালির গোপীনাথপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে (Panchay)।

ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় একের পর এক চুরির ঘটনা সামনে আসছিল। কারও গোলায় থেকে গোরু, কারও গোলা থেকে ধান, এমনকি টোটো, ট্রেলি ভ্যান পর্যন্ত চুরি যাচ্ছিল। বহু প্রচেষ্টার পরেও গ্রামবাসীদের জালে ধরা দেয়নি চোর। তবে হাল ছাড়েনি গ্রামবাসী। চোর পাকড়াও করতে শেষমেষ গ্রামে সিসিটিভি লাগায় গ্রামবাসীরা। এরপরেই ক্যামেরাতে ধরা পড়ে, রাতে সেই এলাকায় একজন লোক ঘোরাঘুরি করছে। এরপর তাঁকে পাকড়াও করে জানা যায়, মুর্শিদাবাদের ওই বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি। তাঁকে চেপে ধরতেই সে উগরে দেয় স্থানীয় উপপ্রধান ইয়াসিন মল্লিকের দাদা হামজা মল্লিকের নাম। অভিযোগ করেন চুরির পেছনে প্রধান মাথা উপপ্রধানের দাদার। ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পরে যায় গোটা এলাকায়। এরপর উপপ্রধানের দাদাকে ধরে বেধড়ক মারধর করেন পাশের গ্রামবাসী। অন্যদিকে, ঘটনার মীমাংসা করতে হামজা মল্লিক সহ ওপর পক্ষকে ডেকে পাঠান স্থানীয় বিধায়ক রমেন্দু সিংহ রায়।

এরপরই অভিযোগ ওঠে শনিবার রাতে মীমাংসাস্থলে যাওয়ায় পথেই নিশ্চিন্দপুরে গ্রামবাসীদের উপরে হামলা করা হয়। শুধু তাই নয়, মারধরের ফলে গুরুতর জখম হয়েছে ৪ জন। হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এই হামলার পেছনে রয়েছে উপপ্রধানের হাত।

ঘটনা প্রসঙ্গে, স্থানীয় বিধায়ক রমেন্দু সিংহ রায় জানান ” কিছুদিন যাবৎ গ্রামে গোরু এবং টলি ভ্যান চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে গ্রামবাসীরা। বিষয়টি মীমাংসা করতেই আজ পার্টি অফিসে ডাকা হয়েছিল দুপক্ষকে, কিন্তু ওরা আসেনি। একটা ঘটনা হয়েছে শুনলাম। খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।” গ্রামবাসীদের ওপর ভয়ঙ্কর এই আক্রমণের দরুন আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রাম জুড়ে। থমথমে গোটা এলাকা। অন্যদিকে গ্রামবাসীর ওপর হামলার এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চরজনকে গ্রেফতার করেছে ধনিয়াখালি থানার পুলিশ।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর