বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলার পর ত্রিপুরায় (Tripura) নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করতে চলেছে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল (TMC) বাহিনী। কিন্তু প্রায় প্রতিনিয়ই ত্রিপুরা থেকে তৃণমূলের উপর আক্রমণের খবর সামনে আসছে। এবার আবারও ত্রিপুরা থেকে তৃণমূল কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। তবে অভিযোগের তীর উঠেছে বিজেপির (BJP) দিকে।
বিষয়টা হল, লক্ষ্মী পুজোর আগেরদিন রাতে পশ্চিম ত্রিপুরার খয়েরপুরের বনিক্কা চৌমহনিতে তৃণমূল কর্মী দুলাল দাসের দোকানে ভাঙচুর করে তাঁকে মারধর করে একদল মানুষ। এমনটাই অভিযোগ করে তৃণমূল শিবির। আর এই ঘটনায় বিজেপির দিকেই আঙ্গুল তুলেছে সবুজ শিবিরের সদস্যরা।
এবিষয়ে দুলাল দাস জানান, ‘মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার সময় কয়েকজন বিজেপি কর্মী আমার দোকানের সামনে আসে। এখানে এসে আমাকে মারধর করে। আর হুমকি দিয়ে বলে যেন আমি তৃণমূল করা ছেড়ে দিই’।
এখানেই শেষ নয়, খোয়াই জেলার জাম্বুরা গ্রামের এক তৃণমূল কর্মী সুশিল মোদক এবং তার পরিবারের উপর বিজেপি কর্মীরা হামলা করে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। তাঁদের মারধোর করে ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব কেন চুপ করে রয়েছেন, এমন প্রশ্নও উঠতে থাকে।
বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক বলেন, ‘বিজেপির গুণ্ডারা জানে যে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে না। সেই কারণেই তাঁরা বিরোধী কর্মীদের উপর হামলা করছে। জঙ্গল রাজ চলছে ত্রিপুরায়। থানার অফিসাররাও বিজেপির বিরুদ্ধে FIR নিচ্ছে না। এই বিজেপির গুন্ডাদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জনেরও বেশি বিধায়ক, পুলিশ অফিসার, এমনকি বিডিওরাও’।