বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গ্রাহকরা পাচ্ছেন না রেশন সামগ্রী, তার বদলে তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসা হচ্ছে টাকা! এমনই অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) থেকে। সেখানে ‘দুয়ারে রেশন’ (Duare Ration)) ক্যাম্প চললেও, গ্রাহকরা রেশন না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তৃতীয়বার বাংলার ক্ষমতায় আসার জন্য বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বেশকিছু নতুন প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যার মধ্যে ছিল ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পও। নির্বাচনে জয়ের স্বাদ পেতেই বাংলার মসনদে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই শুরু হয় এক একটি প্রকল্পের বাস্তব রূপদান
সেই মর্মে ইতিমধ্যেই দ্বিতীয়বার বসেছিল ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প। তারপর প্রকল্প চালু হওয়ার পর ইতিমধ্যেই বাংলার লক্ষীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করেছে ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পের টাকা। তবে বহু ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে অবশেষে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প।
কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প এই ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প চালু করার বিরুদ্ধে ছিল ডিলার সংগঠন। তাঁদের দাবি ছিল, বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়ার মত লোকবল, অর্থবল নেই তাঁদের কাছে। তাই ‘দুয়ারে রেশন’ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সেসব সমস্যা পেরিয়ে ঠিক হয় রাজ্যের তিন হাজারেরও বেশি রেশন দোকান থেকে প্রত্যেকটি জেলা থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিলারকেও (Ration Dealer) বেছে নেওয়া হবে এই কাজের জন্য।
তবে শুরু হতেই এই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি থেকে। অভিযোগ উঠেছে, জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের অধীন বালাপাড়া গ্রামের স্থানীয় রেশন ডিলার রেশন সামগ্রী না দিয়ে, গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে আসছেন।
এই ঘটনা জানাজানি হহয়ার পরই, তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জলপাইগুড়ি সাব ডিভিশনাল কন্ট্রোলার (ফুড এন্ড সাপ্লাই) অজয় কুমার মিশ্র। যদিও ডিলার এই বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় কিছুটা চাপে পড়েছে শাসক দল।