বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিনিয়তই চিকিৎসা গাফিলতির নানা অভিযোগ সামনে আসছে। কখনও বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে, তো আবার কখনও ভুল চিকিৎসার বশে রোগী হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে কবসা নিবাসী রাজেশ সাহার অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর তাঁর পায়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে বারবার তাঁকে হেনস্থা হতে হয়েছে। ৬-৭ বার অপারেশনের পর, তাঁর ইনস্যুরেন্সের টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও, তাঁর পায়ের কোন উন্নতি হয়নি। বর্তমানে তিনি কাজ হারিয়ে এই করোনা আবহের দুঃসময়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে রাজেশ সাহা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে ফিউচার গ্রুপে কর্মরত অবস্থায় একটি দুর্ঘটনায় তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। তৎক্ষণাৎ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুমঙ্গল হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁর পায়ে প্লাস্টার করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর ESI হাসপাতালের এক চিকিৎসকের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় থাকার দরুণ, তাঁর তত্ত্বাবধানেই পার্ক ভিউ হাসপাতালে পায়ে প্লেট বসানো হয় রাজেশ সাহার।
কিন্তু চিকিৎসার পর তাঁর অবস্থার আরও অবন্নতি হতে শুরু করে। ক্ষত স্থান সেরে ওঠার বদলে, সেখানে ইনফেকশন শুরু হয়। যার ফলে তাঁকে আবারও চিকিৎসকের দারস্থ হতে হয়। এরপর চিকিৎসক তাঁকে MRI হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। সেখানে সাময়িক চিকিৎসার পর, আবারও তাঁকে পার্ক ভিউ হাসপাতালে নিয়ে এসে ২৬ দিনের মধ্যে তাঁর পায়ে ৬-৭ বার অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনায় ইনস্যুরেন্সের সমস্ত টাকাই তাঁর শেষ হয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসায় কোন সুরাহা হয় না তাঁর। বর্তমানে তিনি কাজ হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত সংকীণ হয়ে পড়েছে তাঁর। রাজেশ সাহা আরও অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনা প্রসঙ্গে বহুবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও, তিনি ব্যর্থ হয়েছে। কোনরকম সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ।