আবাস যোজনার ঘরে রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা! ধরা পরে সাফাই, ‘৩ ঘণ্টায় মাত্র ২ হাজার নিয়েছি’

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য জুড়ে হাজারো কাণ্ড। একদিকে অভাব থাকার পরও মাথায় ঠাঁই গোঁজার জন্য একটা ছাদ পাচ্ছেনা কত হত দরিদ্র মানুষ। অন্যদিকে সরকারি আবাস যোজনার ঘর (Pradhan Mantri Awas Yojana) পেয়ে তাতেই রমরমিয়ে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছেন নদিয়ার (Nadia) গোপাল সরকার। ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল রাজ্যজুড়ে।

ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার জেলার শান্তিপুর থানার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগ, দাদুর নামে পাওয়া সরকারি ঘরে দিনের পর দিন ব্যবসা চালাচ্ছেন গোপাল নামে ওই স্থানীয় ব্যক্তি। আর এই অভিযোগ তুলে গোপালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন খোদ তার স্ত্রী। অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

অভিযোগ, কিছুদিন যাবৎ ওই বাড়িতে এক যুবক-যুবতীকে আসতে লক্ষ্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবারও নাকি তারা আসেন। অন্যদিকে, তখনই চিৎকার শুরু করেন গোপালের স্ত্রী। তড়িঘড়ি ছুটে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। তারপরেই সবার চোখ কপালে। ঘরের বিছানায় শুয়ে আছে সেই যুবক-যুবতী। গোপালের স্ত্রীয়ের অভিযোগ স্বামীই তাদের ঘরে ঢুকিয়েছেন।

শুধু তাই নয়, বিস্ফোরক অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাড়িতে আসা মহিলাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চেয়েছিলেন গোপাল। তাই ঘরে আসা যুবক-যুবতীর লুকিয়ে ভিডিয়ো করতে বলেছিলেন তাকে। অসহায় স্ত্রীর অভিযোগ, সবটা জেনেও তিনি ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি। কারণ প্রতিবাদ করলেই তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হত। এমনকী তার পেটের বাচ্চাও নষ্ট করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হত।

তবে স্বামী বাড়িতে আসা ওই যুবতীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে রাগে, অপমানে তিনি সবাইকে সবটা জানান। গোপালের স্ত্রীর অভিযোগ, প্রায়ই তাদের বাড়িতে নিয়ে আসা হত। তিন ঘন্টা কাটানোর জন্য রেট ছিল দুই হাজার থেকে তিন হাজার পর্যন্ত। অন্যদিকে অভিযোগ পেয়েই যুবক-যুবতীকে আটক করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।

এদিকে পুলিশি চাপে সমস্ত অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছেন গোপাল। তিনি বলেন, “সবটাই আমার বউ জানত। এখন নিজেই সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে। তবে ওরা বেশিদিন আসেনি। ৬ মাস আগে একবার এসেছিল। তখন মাত্র ২ হাজার টাকা নিয়েছিলাম আজকের আড়াই হাজার দেওয়ার কথা ছিল। তবে টাকা এখনও দেয়নি।” ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর