বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লিলুয়ার পর দমদম (dumdum), আবারও হোমে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করল নির্যাতিতার পরিবার। খুন্তি দিয়ে আঘাত, হাতে সেফটিপিনের ক্ষত, সারা শরীরে দগদগে ঘা আর সেই ঘায়ের মধ্যে সিনিয়রদের নাম লেখা, এমনকি যৌনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দমদমের হোমের বিরুদ্ধে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বছর ৯-র নির্যাতিতা কিশোরীকে। দমদম থানায় সমস্ত ঘটনার বিষয়ে জানানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, বাবা মা মারা যাওয়ার পর ক্যানিং-র তালদি এলাকায় মাসির বাড়িতেই থাকতেন বছর ৯ -এর নির্যাতিতা কিশোরী এবং তাঁর বোন। আচমকাই একদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে তাদের দমদমের হোমে রেখে আসেন তাদের মেসো। এরপর প্রায় চার মাস পর একপ্রকার জোর করেই তাদের মাসি জোর করে তাঁর স্বামীকে নিয়ে বোনের মেয়েদের দেখতে দমদমের সেই হোমে যান।
সেখানে গিয়ে দেখেন বারান্দার এক কোণে ভয়ে সিটিয়ে পড়ে রয়েছেন ওই কিশোরী। তাঁরা সারা শরীরে ক্ষত চিহ্ন দেখে দুই বোনকেই বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন তাদের মাসি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তিও করা হয় ওই কিশোরীকে।
প্রতিবেশিদের কিছু না জানালেও, তাঁরা কিছুটা আন্দাজ করতে পেরে ক্যানিং থানা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা চাইল্ড লাইনে খবর দেয়। পুলিশ আধিকারিকরা জানান, ঘটনা দমদম এলাকায় হওয়ায়, ওখানকার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে হবে।