সোমবারই নিজের কেন্দ্রে পা রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে মনোনয়ন পত্রও জমা দেন। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের মত গুরুতর অভিযোগ তুলে সরব হল বিজেপি। অভিযোগ, নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে পুলিশ কর্মীদের ব্যবহার করছে মমতা। খবর অনুযায়ী ভোটমুখী বাংলায় এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
অভিযোগে জানা যাচ্ছে, নন্দীগ্রামে সাদা পোশাকে পুলিশ কর্মীদের প্রচারের কাজে লাগানো হচ্ছে। তারা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বৈঠক ও টাকা বিলি করছেন। আর তাতে জড়ানো হল এক ডিএসপি, দুই ইন্সপেক্টর নাম। এমনকি পূর্ব মেদিনীপুরের ডিএম, এসপি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্টেট সিকিউরিটি উইং-ও তাতে জড়িয়ে আছেন বলে অভিযোগ।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে ঘিরে জনতার উন্মাদনা ও ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত। তবে থেমে ছিলেন না ‘ভূমিপুত্র’ শুভেন্দুও। আজ তিনি নন্দীগ্রামে নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে মমতাকে কাঁটার টক্কর দিয়ে সমান সমর্থক নিয়ে মিছিল করলেন।
অন্যদিকে আজই নন্দীগ্রামে বাম শিবির প্রার্থী ঘোষণা করলেন যুব নেত্রী মিনাক্ষীকে। সব মিলিয়ে ২১-র নির্বাচনে ‘হটস্পট’ হতে চলল নন্দীগ্রাম। তবে মমতার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের যে অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বের তরফে হেস্টিংস রোডে বিজেপির সদর দপ্তরে জমা পড়েছে। তাতে শাসকশিবির যে বেজায় সমস্যায় পড়ল, তা আন্দাজ করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তবে তৃণমূলের কাছে এই অভিযোগ একেবারেই ধোপে টিকল না। শাসক শিবিরের এ বিষয়ে মটেও আমল দেওয়া দিতে নারাজ। শাসকদলের নেতা কুনাল ঘোষ বলেন, ‘ মাথায় কিছু গণ্ডগোল আছে। একেবারেই অবান্তর কথা। নির্বাচনে যে হারতে চলেছে, তা আগাম বুঝতে পেরে ছুতো খুঁজে বেড়াচ্ছে। এমন কুৎসা ও অপপ্রচারে নন্দীগ্রামের মানুষের কিছু যায় আসেনা’।