বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের রাজ্যে গরু পাচারের (Cow smuggling) অভিযোগ। কাঠগড়ায় সেই তৃণমূল (Trinamool)। শাসকদলের পতাকা লাগানো গাড়ি করে গরুপাচারের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) খড়দহ থানার সোদপুর (Sodepur) মোড়ে। পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় গরুটিকে। ঘটনা ঘিরে শোরগোল ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, তৃণমূলের পতাকা লাগানো গাড়ি করে গরুপাচার করার খবর পৌঁছায় পুলিশের কানে। এরপর সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক আধিকারিকরা পাচারকারীদের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় তারা। দ্রুত গতিতে পালানোর চেষ্টা করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি সোদপুর দত্ত রোডের কাছে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে।
এরপর পুলিশ দ্বারা উদ্ধার করা হয় গরুটিকে। তবে ঘটনার পর গাড়ির চালক-সহ অন্যান্যরা তৎক্ষণাৎ চম্পট দেয়। অন্যদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেও শুরু রাজনৈতিক তরজা। গাড়িতে তৃণমূলের পতাকা থাকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে সেই বিষয় তুড়ি মেরে উড়িয়ে খরদহ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরীর কথা, ‘এটা বিরোধীদের চক্রান্ত।’
বিজেপিকে নিশানা করে তার অভিযোগ, ‘একটা অলটো গাড়িতে করে কখনওই গরুকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। গাড়িতে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে তৃণমূলের নাম খারাপ করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ তদন্ত করলেই সত্যিটা বেরিয়ে আসবে। বিরোধীরা তৃণমূল কংগ্রেসকে ঘিরে ধরেছে। কীভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম করা যায় সেই চেষ্টা করছে।’
থেমে থাকেনি বিজেপিও। তৃণমূলকে পালটা দিয়ে রাজ্য বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, ‘তৃণমূলের আমলে গরু থেকে শুরু করে সবকিছু পাচার হচ্ছে। অথচ এইসব ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখতে পান না। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কারণ এর সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরাই জড়িত। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা নেয় তাহলে আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না। ”
তার দাবি, “আমরা চাই এই ধরনের ঘটনায় শাস্তি হোক। কিন্তু, আমরা দেখতে পাচ্ছি টাকা পয়সা শাসকদলের নেতাদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। পাচারের মতো ঘটনা ঘটছে। বিজেপি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।” প্রসঙ্গত, গরু পাচার কাণ্ডে বহুদিন জেলবন্দি রয়েছেন বীরভূমের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সেই নিয়েই শোরগোল গোটা বঙ্গে। এরই মধ্যে ফের ফের একবার শাসকদলের নাম জড়ালো গরু পাচার কাণ্ডে।