ঘরে আছেন স্বামী, তবুও বিধবা ভাতা পাচ্ছেন স্ত্রী! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মেদিনীপুরে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : জীবিত রয়েছেন স্বামী। তারপরেও স্ত্রী পাচ্ছেন বিধবা ভাতা (Widow Pension)। অন্যদিকে প্রতিমাসে জীবিত স্বামীও তুলছেন বার্ধক্য ভাতা। এই নিয়ে এবার শোরগোল পড়ে গেল মেদিনীপুর (Midnapore) শহরের কলগাং মালিয়ারা এলাকায়। সরকারি গাফিলতির অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। সূত্রের খবর, বাবলু মোল্লা ও ফুলু বিবি মালিয়ারা বাসিন্দা। তাদের পাঁচটি ছেলে মেয়ে রয়েছে। ফুল বিবি রান্নার কাজ করেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোন মহিলার স্বামী মারা যাওয়ার পর বিধবা ভাতা পান স্ত্রীরা।

কিন্তু এখানে বাবলু মোল্লা দিব্যি জীবিত রয়েছেন। তিনি প্রতি মাসে নিয়ম করে ব্যাংক থেকে তুলছেন বার্ধক্য ভাতা। অপরদিকে স্বামী মারা যাওয়ার আবেদন করে বছর পর বছর ধরে বিধবা ভাতা পাচ্ছেন ফুলু বিবি। এই বিষয়টি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয়রা এই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন সরকারি উদাসীনতার। কারণ একদিকে এমন বহু মানুষ রয়েছেন যাদের ষাট বছর পেরিয়ে গেলেও আবেদন করা সত্ত্বেও তারা পাচ্ছেন না বার্ধক্য ভাতা।

অপরদিকে একজন জীবিত স্বামী থাকা সত্ত্বেও নিজেকে বিধবা ঘোষণা করে কিভাবে একজন মহিলা বিধবা ভাতা পেতে পারেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এর ফলে সামনে আসছে সরকারি গাফিলতির অভিযোগ। স্থানীয় এলাকায় সবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে কিভাবে নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিনের পর দিন এই বেআইনি কাজ চলছে সেই নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য নিরঞ্জন হালদার জানিয়েছেন, বিভিন্নভাবে গরিব মানুষ সরকারি পরিষেবা নিয়ে অসুবিধায় ভুগছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকার নতুন বার্ধক্য ভাতায় সাড়া দিচ্ছে না। সেখানে এত বড় ভুল কিভাবে হল সেই দিকটি আমরা খতিয়ে দেখব। স্বামী বেঁচে থাকা সত্ত্বেও একজন বিধবা ভাতা পাবেন তা মেনে নেওয়া যায় না। পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, “যেহেতু এটা অনেকদিন আগেকার ঘটনা তাই আমরা বিষয়টা জানতে পেরেই অঞ্চল অফিস এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জানিয়েছি ৷”

Widow allowance

অন্যদিকে এই বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত ফুলু বিবি বলেছেন, আজ থেকে চার থেকে পাঁচ বছর আগে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আমি ও আমার স্বামী বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করেছিলাম। এরপর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকে। এরপর থেকে আমরা টাকা তুলছি। তবে আমি জানিনা সেটা বিধবা ভাতার টাকা। কিন্তু সম্প্রতি পঞ্চায়েত থেকে আমাদের এই বিষয়টি জানিয়েছে। আমরাও পঞ্চায়েতকে বলেছি এই ভুলটি ঠিক করে দিতে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর