বাংলাহান্ট ডেস্ক: দক্ষিণের সুপারস্টার। ‘পুষ্পারাজ’ হয়ে সেই আল্লু অর্জুনই (Allu Arjun) গোটা দেশে রাজত্ব করছেন। বাহুবলীর পর আবারো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল ‘পুষ্পা’। ছবিটি প্রেক্ষাগৃহ থেকে বিদায় নিলেও রেশ রয়ে গিয়েছে দর্শকদের মনে। এটাই সাফল্য আল্লুর। তাঁর অভিনয় এবং নাচের প্রতিভা দেখে তো মুগ্ধ সকলেই। কিন্তু পুষ্পারাজের বাস্তবের শ্রীভল্লিকে চেনেন? তাঁদের প্রেম কাহিনিও কিন্তু বড়পর্দায় জায়গা করে নেওয়ার মতোই।
বিপরীত মেরুর মধ্যে আকর্ষণ সবথেকে বেশি। লোকমুখে বহু প্রচলিত এই কথা আল্লু অর্জুন ও তাঁর স্ত্রী স্নেহা রেড্ডির (Sneha Reddy) ক্ষেত্রে এক্কেবারে অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। স্নেহা রেড্ডির কিন্তু অভিনয়ের সঙ্গে দূরদূরান্ত পর্যন্ত কোনো সম্পর্ক ছিল না। তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার। হায়দ্রাবাদে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। দুই ভিন্ন জগতের মানুষের মনের মিল হল কীকরে?
শুরুটা হয়েছিল দশ বছরেরও বেশি আগে। এক বন্ধুর বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে মার্কিন মুলুকে গিয়েছিলেন আল্লু। কাকতালীয় ভাবে সেই বিয়েবাড়িতে উপস্থিত ছিলেন স্নেহাও। বন্ধুর মারফতই আলাপ দুজনের। সুন্দরী এবং ব্যক্তিত্বময়ী স্নেহাকে প্রথম দেখাতেই মন দিয়ে বসেছিলেন অভিনেতা। কিন্তু সে সময় সৌজন্য বিনিময় ছাড়া আর কোনো কথাই এগোয়নি।
পরে বন্ধুর উৎসাহেই স্নেহার সঙ্গে যোগাযোগ করেন আল্লু। সাড়া আসে অন্য দিক থেকেও। ধীরে ধীরে পরিচয় গড়ায় প্রেমে। দুজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নেন। এতদূর অবধি সবটাই চলছিল গোপনে। কিন্তু একদিন আল্লু অর্জুনের বাবা আল্লু অরবিন্দ সবটা জেনে যান। শোনা যায়, দুই পরিবারই প্রথমে এই বিয়ের বিরুদ্ধে ছিল।
স্নেহার বাবা মা চাননি মেয়ে একজন অভিনেতাকে বিয়ে করুক। কিন্তু আল্লু ও স্নেহা দুজনেই বদ্ধপরিকর ছিলেন, বিয়ে করলে একে অপরকেই করবেন। তাঁদের জেদ দেখে নরম হয় দুই পরিবার। ২০১০ এর নভেম্বরে বাগদান সারার তিন মাস পর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন আল্লু ও স্নেহা। একে একে তাঁদের জীবনে আসে ছেলে আল্লু আয়ান ও মেয়ে আল্লু আরহা।
একবার অভিনেতা জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী খুবই কড়া ধাতের মানুষ। স্নেহা নাকি বলেন, আল্লুর মহিলা অনুরাগীদের তাঁর সঙ্গে কিছুদিন থাকা উচিত। তাহলে তাঁরা আর অভিনেতার ভক্ত থাকবেন না। পুষ্পার পর আল্লু নিজেও জানিয়েছিলেন, তিনি এমন কোনো ছবি কখনো করবেন না যেটা তিনি নিজের স্ত্রী, সন্তানদের সঙ্গে বসে দেখতে না পারেন।