দুয়ারে ত্রাণের কয়েক লক্ষ আবেদন বাতিল! অধিকাংশই ভুয়ো বলে দাবি সরকারের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছর আমফান(Amphan) ঘূর্ণিঝড়ের সময় ত্রাণের ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে রীতিমতো সরব হয়েছিল বিরোধীরা। তাদের দাবি ছিল আসলে অনেক এমন মানুষ ত্রাণ পেয়েছেন যাদের তেমনভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যার জেরে নির্বাচনের সময়ও তৃণমূলের এই ত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে আক্রমণ চালিয়েছিল বিরোধীরা। গত বছরের স্মৃতি ফিরিয়ে এ বছরে এসেছে ইয়াস(Yaas)। ফের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।

কিন্তু গতবছরের ত্রাণ কান্ডের কথা মাথায় রেখে এবার শুরু থেকেই সচেতন ছিল মমতা সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee) শুরুতেই জানিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ ত্রাণের জন্য আবেদন করতে পারবেন নিজেরাই। তার জন্য কাউকে ধরতে হবে না। টাকা যাতে সঠিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছায় তার জন্য শুরু থেকেই আধিকারিক এবং দলীয় নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

সূত্রের খবর অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশিত দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পে আবেদন জমা পড়েছিল প্রায় ৩ লক্ষ ৮১ হাজারেরও বেশি। কিন্তু স্ক্রুটিনি করে দেখা গিয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশ আবেদনই ছিল ভুয়ো। যার জেরে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৮১৫ টি আবেদন বাতিল বলে গণ্য করেছেন সরকারি আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ত্রাণের জন্য আবেদন করার সময়সীমা ছিল ১ থেকে ১৮ জুন অবধি। অন্যদিকে ফিল্ড ভেরিফিকেশনের সময়সীমা ছিল ৩০ জুন অবধি। প্রতিটি আবেদন খতিয়ে দেখার পর প্রায় ৪৫% আবেদন বাতিল করতে হয়েছে সরকারি আধিকারিকদের।

জানা গেছে প্রায় ৮ টি জেলা থেকে পরেছিল এই আবেদনগুলি। যার মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, হাওড়া এবং হুগলি। একথা ঠিক যে এবছর সচেতনতা কারণে দুর্নীতি অন্তত অনেকটাই ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে সরকার। তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী স্বচ্ছতার দিকে নজর দিয়েছেন। ইয়াসের ক্ষেত্রেও একের পর এক বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সেচ দপ্তরের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এবার ত্রাণের ক্ষেত্রেও অনেকটাই স্বচ্ছতা রক্ষা করা সম্ভব হল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর