শুধু টমেটো নয়, দাম বেড়েছে এইসব খাদ্যদ্রব্যেরও, নতুন রেট জানলে চমকে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশজুড়ে (India) লাফিয়ে বৃদ্ধি (Inflation) পেয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এমনকি, বাজারে শাকসবজি কিনতে গিয়েও রীতিমতো কালঘাম ছুটছে সাধারণ মানুষের। ইতিমধ্যেই টমেটোর দাম কার্যত আকাশ ছুঁয়েছে। তবে, শুধু যে টমেটোরই দাম বৃদ্ধি হয়েছে এমনটা কিন্তু নয়। বরং, আরও একাধিক খাদ্যদ্রব্য এবং মশলার দামে পরিবর্তন ঘটেছে। আর যার ফলে পকেটে টান পড়ছে ক্রেতাদের।

এদিকে, পরিস্থিতি এমনই যে দাম বৃদ্ধি হওয়া সত্বেও এই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। আসলে শাকসবজির ক্রমবর্ধমান দামের আবহে বৃদ্ধি পেয়েছে মশলার দামও। পাইকারি থেকে শুরু করে খুচরো বাজার প্রতিটি ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত অর্থ দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।

মূলত, এবার মশলার দাম নতুন করে বেড়ে যাওয়ার ফলে হেঁশেলের বাজেট আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল মশলার মধ্যে জিরে সবথেকে দামি হয়েছে। এদিকে, জিরে হল এমনই একটি মশলা যেটি রান্নাতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এমতাবস্থায়, জিরে কিনতে গিয়েও কালঘাম ছুটছে সবার।

তবে, জিরে ছাড়াও জোয়ান ও মৌরির দামও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বাজারে যাওয়ার আগে ক্রেতাদের ভাবনাচিন্তা করে নিতে হচ্ছে যে তাঁরা ঠিক কি কি কিনবেন। পাশাপাশি, এই দামবৃদ্ধির ফলে রান্নাতে এই মশলার ব্যবহারও বাধ্য হয়ে কমিয়ে দিতে হচ্ছে।

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত মার্চে বৃষ্টির কারণে রাজস্থান ও গুজরাটে জিরের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই উৎপাদন প্রভাবিত হওয়ার কারণে মশলার দামও ক্রমাগত বাড়ছে। এছাড়াও কাজু এবং বাদামও দামি হয়েছে।

Along with tomatoes, the prices of these food items are also increasing

দাম বেড়েছে এইসব মশলার: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এর আগে প্রতি কেজি জিরের দাম ছিল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। যা এখন বেড়ে হয়েছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। একইভাবে, জোয়ানের ক্ষেত্রে আগে দাম ছিল প্রতি কেজিতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এখন সেই দাম বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা। এছাড়াও, মৌরির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০ টাকারও বেশি। এখন এক কেজি মৌরির দাম হল ৩৬০ টাকা। যা আগে ছিল ২৫০ টাকা।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর