বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন থেকে খবরের শিরোনামে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) জমি-জট থেকে শুরু করে নোবেল জয়, সবেতেই বিতর্ক নোবেলজয়ীকে নিয়ে। একদিকে যখন বিশ্বভারতীর উপাচার্যর সাথে জমি-বিতর্কে জড়িয়েছেন অমর্ত্য সেন, অন্যদিকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে বাংলার আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Vice-Chancellor)।
এদিন অমর্ত্য সেনের সাথে দেখা করে তাকে ‘দেশের সম্পদ’ (Asset) আখ্যা দিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের (Burdwan University) উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা। সারা রাজ্য জুড়ে যখন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে ঘিরে একের পর এক বিতর্ক সামনে আসছে সেসময় উপাচার্যের এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। বুধবার শান্তিনিকেতনের ‘প্রতীচী’ বাড়িতে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করতে যান নিমাইচন্দ্রবাবু।
এদিন উপাচার্যের সাথে ছিলেন রেজিস্ট্রার সুজিতকুমার চৌধুরী-সহ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও বেশ কয়েক জন আধিকারিক। বেশ কিছুক্ষণ অর্থনীতিবিদদের বাড়িতে তার সাথে কথাবার্তা হয় তাঁদের। আলাপচারিতা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উপাচার্য বলেন, ‘‘সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। উনি আমাদের দেশের সম্পদ। ”
পাশাপাশি নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, “যদি ওঁনাকে আমরা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যেতে পারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে আধিকারিক, শিক্ষাকর্মী,পড়ুয়ারা সকলেই চান, অধ্যাপক সেন একবার আমাদের ওখানে গিয়ে কিছু বলুন। কোনও বিষয়ের উপরে উনি বক্তব্য পেশ করলে তা আমাদের পক্ষে গৌরবের হবে। তাই দেখা করতে আসা।’’
উপচার্যের সংযোজন, নোবেলজয়ী এর পর যখন আসবেন, তখন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন অমর্ত্য সেন। এরপর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি-বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এই ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করব না। তবে, উনি আমাদের দেশের সম্পদ। তাই ওঁকে রক্ষা করাটা আমাদের সকলের দায় এবং দায়িত্ব।”