দিল্লিতে চলা শাসন ভারতের প্রতি মঙ্গলময় বলে মনে করিনা! বিস্ফোরক অমর্ত্য সেন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জমি বিতর্কে এবার কেন্দ্রের দিকেই নিশানা অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen)। তিনি সরাসরি কেন্দ্রের দিকে নিশানা করে বলেন, দিল্লিতে যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক শাসন চলছে সেটা কী ভারতের প্রতি মঙ্গলময়? না আমি তেমন মনে করি না।” তিনি বলেন যে, আমার পাশে লোকে দাঁড়াবে, অপমানিত হবে, মারধর খাবে এসব দেখা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। 

অমর্ত্য সেন আর বলেন, ‘বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক বিরোধিতা করি, তাই আমার বাড়ি কেড়ে নিতে চাইছে। তাই হয়তো আমাকেই নিশানা করা হচ্ছে।’ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে পাল্টা চিঠিও দিলেন তাঁর আইনজীবী। চিঠিতে তিনি লিখেছেন বাড়তি জমি দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এর জন্য বিশ্বভারতীকেই ক্ষমা চাইতে হবে তাঁর কাছে। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, অমর্ত্য সেন মোট ১.৩৮ একর জমি ভোগ করছেন। যার মধ্যে আইনতভাবে তাঁর জমি ১.২৫ একর। বাকি ১৩ ডেসিমল জমি বিশ্বভারতীর। সেই বাড়তি জমি ফেরত দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে।

গত ২৪ জানুয়ার অর্থনীতিবিদকে চিঠি দেয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠিতে অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে রেখেছেন অভিযোগ তুলে সেটা ফিরিয়ে দেওয়ারও আবেদন জানায়। যা নিয়ে সৃষ্টি হয় চূড়ান্ত বিতর্ক। অমর্ত্য সেনের এই বাড়ির জমি দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বাবার নামে ছিল। এবার এই বিতর্ক এড়াতে নিজের নামে করে এই মিউটেশন করার জন্য আবেদন করেন অমর্ত্য সেন। আগামী ২০ তারিখে যার হিয়ারিং রয়েছে বোলপুরের বিএলআরও অফিসে।

এরই মধ্যে অর্মত্য সেনের নোবেল জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন বিশ্বভারতীর উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘অমর্ত্য সেন নোবেল লরিয়েটই নন, উনি জীবনেও নোবেল প্রাইজ পাননি। উনি নিজে দাবি করেন নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন বলে।’ জমি বিতর্কের মাঝে তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়। এরপরই অমর্ত্য সেন অভিযোগ করে বলেন,  যে রাজনীতিতে উপচার্য নিজেকে চালান তাঁর সঙ্গে বিরোধ থাকার কারণেই বারবার তাঁকে আক্রমণ করছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

amartya

এ প্রসঙ্গে অর্মত্য সেন বলেন, ‘এটা তো আমার বাড়ি। আমি তো এখানেই থাকি। বিশ্বভারতীর কর্তারা একদিকে যেমন ছাত্রদের তাড়িয়ে দিচ্ছেন, তেমনই অন্য দিকে আমার বাড়িটা নিয়ে নিতে চান। কেন করছেন তার উত্তর পেতে জ্ঞানী লোকেদের কাছে প্রশ্ন করতে হবে। আমার পক্ষে বলা বেশ কঠিন। আন্দাজ করাও কঠিন। কেন হঠাৎই আমার বিরুদ্ধে ওঁরা বলতে শুরু করলেন তা বলাও খুব মুশকিল।’

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর