বাংলাহান্ট ডেস্ক : বয়স নব্বই পেরিয়ে গেছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) তো বটেই ভারতের তথা পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ (Economist)। এই অর্থনীতির জন্য তিনি পেয়েছেন বিশ্ব জোড়া সুখ্যাতি এবং তাঁর যথা যোগ্য সম্মান নোবেল পুরস্কার (Nobel prize)। তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। এবার তাঁকেই উদ্দেশ্য করে বিশ্বভারতীর (Biswa Bharti University) উপাচার্য (Vice Chancellor) বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidhyut Chakraborty) বলেন যে, ‘অমর্ত্য সেনকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়নি, অর্থাৎ তিনি নোবেল লরিয়েট নন’।
তবে উপাচার্যের কথার কোনো গুরুত্বই দেননি তিনি। তিনি হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন সেই কথা। সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে তাঁকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি কী বলতে চান এই প্রসঙ্গে? তিনি এক গাল হেসে উত্তর দিলেন যে তাঁর সত্যিই কিছু বলার নেই এই ব্যাপারে। তবে এই বিষয়ে হয়তো তিনি এক গাল হেসে ছোট্ট কথায় উত্তর সারলেও, রাজ্যে যে জমি নিয়ে বিতর্ক চলছে, সেই নিয়ে তিনি যথেষ্ট সরব। এমনকি এই বিষয়ে নিজের ক্ষোভও প্রকাশ করলেন তিনি।
বিশ্বভারতীর ওই উপাচার্য তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে, এই জমি বিতর্ক নিয়ে তিনি যথেষ্ট ভয় পেয়ে আছেন, আর তাই আদালতের দ্বারস্থ হতে চাইছেন না তিনি। কিন্তু এই ব্যাপারেও তাঁর সোজাসুজি জবাব, তিনি আদালতে যাননি, কারণ এটা তাঁর ব্যাপার। কিন্তু এই ব্যাপারে তিনি যে ভয় পেয়েছেন এটা ঠিক নয়। বিশ্বভারতীর জমি দখল নিয়ে মামলা চলছে বহু দিন ধরেই। এ ক্ষেত্রেও তাঁর পরিষ্কার জবাব, তিনি কোনো ভাবেই এই চক্রান্তের সাথে যুক্ত নন। ওই বিষয় নিয়ে তিনি আলোচনা করতেও ইচ্ছুক নন।
কিন্তু ওই উপাচার্যকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন যে, “উপাচার্য দীর্ঘদিন ধরে যে বাড়িতে রয়েছেন, হঠাৎ করে যদি বলা হয়, সেটা ওনার বাড়ি নয়। তাহলে কী সেটা ওনার বাড়ি হবে না?” পাশাপাশি প্রবীণ অর্থনীতিবিদের সংযোজন, “উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করতে আমিও উৎসূক হয়ে আছি। ওনার সঙ্গে আলোচনা করলে আমার বিকাশ ঘটবে। উনি কেন আমার সঙ্গে আলোচনা করতে চান, সেটা জানতেও আমি আগ্রহী।”