‘চুপ করুন’! লাগাতার বিজেপি নেতাদের কটাক্ষের জবাবে মন্তব্য নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ  ঘটনার সূত্রপাত বেশ কিছুদিন আগে। বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে, সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে (PTI) দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই এক মন্তব্য করেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। আর তাতেই তরজা। নোবেলজয়ীর মন্তব্যর পরেই শোরগোল পরে গিয়েছিল রাজনীতির অন্দরে। স্বাভাবিকভাবে বিরোধীমহলে শুরু হয়ে গিয়েছিল নানা তর্ক-বিতর্ক। তবে অমর্ত্য সেনের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু না বললেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন , ‘‘তাঁর উপদেশ আমাদের কাছে আদেশ।’’

এরপরই আরও জোরদার হয় বিতর্ক। নোবেলজয়ীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হন একাধিক বিজেপি নেতা (BJP Leader)। শুরু হয় কথার আক্রমণ। কোথাও আবার আক্রমণ গিয়ে পৌঁছায় ব্যক্তিগত স্তরেও। অমর্ত্য সেনের মন্তব্য প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘অমর্ত্য সেন যদি এই স্বপ্ন দেখেন ওঁকে বলব, আপনি মমতাকে আশীর্বাদ করুন।’’ পাশাপাশি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী নোবেলজয়ীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী পদ খালি নেই।

অমর্ত্য সেনকে জোর কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মোদীজির আসনসংখ্যা আরও বাড়বে। চারশোর বেশি আসন নিয়ে মোদীজি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন’। সাথেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে পরামর্শ দিয়ে তিঁনি বলেন, ‘বিদেশে থাকুন, বিশ্রামে থাকুন। পরামর্শ যদি দিতে হয়, তালিবান সরকারকে দিন’। পাশাপাশি নোবেলজয়ীকে কটাক্ষ করতে সামিল হন বিজেপির নেতাদের একাংশ।

amartya

এবার সেই সব মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি নেতাদের ‘চুপ’ করতে বললেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতা থেকে নিজের শান্তিনিকেতনের বাড়িতে ফেরেন তিঁনি। এ দিন বাড়িতে পৌঁছে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলে, হালকা হেসে তিঁনি জানান, তাঁর শরীর এখন ভাল আছে। এরপরই গেরুয়া নেতাদের কটাক্ষ প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, প্রথমে তিঁনি বলেন, ‘‘এই বিষয় নিয়ে এখন আলোচনা করতে চাই না।’’ দ্বিতীয় বার সেই একই প্রশ্ন করাতে, কিছুটা হেসে নোবেলজয়ী বলেন, ‘‘কিছুই বলব না। চুপ করুন, এটা বলতে পারি!”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর