বাংলা হান্ট ডেস্কঃ থামারই নাম নিচ্ছে না নোবেলজয়ীর জমি বিতর্ক। ১৯ এপ্রিল অর্থাৎ গতকাল বেলা ১২টা নাগাদ ১৯৭১ সালের দখলদার উচ্ছেদ আইন অনুযায়ী অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে ‘পদক্ষেপ’ নেওয়া হবে বলে তার আইনজীবীকে ইমেলে নোটিশ পাঠিয়েছিল বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) রেজিস্ট্রার। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। ১৭ এপ্রিল বিশ্বভারতীকে চিঠি দিয়ে নোবেলজয়ী জানিয়েছেন, জুন মাসে তিনি শান্তিনিকেতনে আসছেন।
জানা গিয়েছে, গতকাল এক চিঠি প্রেরণ করে অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীপক্ষকে জানান, ওই জমির লিজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার ওপর কোনও দাবি করতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, ১৩ শতক জমির মালিকানা নিয়ে অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। নোবেলজয়ীর দাবি, এই জমি তার বাবা কিনেছিলেন। তবে বিশ্বভারতীও ছাড়ার পাত্র নয়। তাদের দাবি, জমি জবরদখল করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন।
প্রসঙ্গত, জমি প্রসঙ্গে গত ২৯ মার্চ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অমর্ত্য সেনকে জমির শুনানির জন্য ডেকেছিলেন। কিন্তু তখন তিনি বিদেশে থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সময় চেয়ে নেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী একসপ্তাহের বেশি সময় দেওয়া যায় না। তাই আগামীকাল ‘কড়া সিদ্ধান্ত’ নেওয়া হবে বলে ১৪ এপ্রিল বিশ্বভারতীর তরফে অমর্ত্য সেনের বাড়িতে নোটিস দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত বিশ্বভারতীর শুনানিতে ১৩ এপ্রিল থাকার কথা ছিল অমর্ত্য সেনের। তবে সেখানে যোগ দিতে পারেননি। বর্তমানে অমর্ত্য সেন বিদেশে রয়েছেন। তাই তিনি এখন আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। তাই জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র তার কাছে নেই বলেও বিশ্বভারতীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তার আইনজীবী।
এরপর চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৪ মাস সময়ও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা দিতে নারাজ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আবার গত সপ্তাহেই নোবেলজয়ীর বিরুদ্ধে ‘কড়া পদক্ষেপের’ নোটিশ প্রকাশ্যে আসায় যথেষ্টই উত্তপ্ত পরিস্থিতি। আগামীকাল এই বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তে আসে বিশ্বভারতী, সেটাই দেখার। তবে জমি বিতর্ক এখনই থামছে না বলেই মনে করা হচ্ছে।