বাংলা হান্ট ডেস্ক: অ্যামাজন রেইন ফরেস্টে অনবরত জ্বলছে আগুন। যে আগুন গোগ্রাসে গ্রাস করছে অ্যামাজনের ঘন জঙ্গল। সকলেরই মনে হতে পারে এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কিন্তু এই বিরাট অগ্নিকাণ্ডের পেছনে হাত রয়েছে মানুষেরই। সমীক্ষা বলছে অ্যামাজনের এই দিনের পর দিন আগুন লাগার ৮০% কারণ পশু চাষ।
There was worldwide outcry when the Notre Dame cathedral was on fire. Why is there not the same level of outrage for the fires destroying the #AmazonRainforest? pic.twitter.com/VbSda5PYAK
— WWF UK (@wwf_uk) August 21, 2019
গোটা বিশ্বকে গরু রপ্তানি করে ব্রাজিল। যার জন্যই দিনের পর দিন সাফ করা হয় আমাজনের জঙ্গল। সমীক্ষা বলছে, প্রতি ১ মিনিটে তিনটি ফুটবল গ্রাউন্ড সমান জঙ্গল সাফ হয়ে যাচ্ছে আমাজন থেকে। ইতিমধ্যেই ২০১৯ সালে রেকর্ড করে ফলেছে অ্যামাজনের আগুন। চলতি আগস্ট মাস পর্যন্ত হিসাব বলছে ব্রাজিলের এই রেনফরেস্টে ৭২ হাজার ৮৪৩ বার আগুন ধরেছে। আর বিগত সাত দিনের হিসেব নিলে, অগ্নিকাণ্ড ৯,৫০০ বারেরও বেশি।
ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট বলসোনারো যথেষ্টই আশকারা দিয়েছেন পশু চাষকে। যার ফলে দিন দিন আরো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে অ্যামাজন রেইন ফরেস্ট। বর্তমানে বিগত তিন সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড চলছে এই ব্রাজিলিয়ান ফরেস্টে, যার হিসেব দিচ্ছে ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, আইএনপিই। তারা জানাচ্ছে, অ্যামাজনের জঙ্গল ধরে ইতিমধ্যেই ব্রাজিলের রোন্ডানিয়া, অ্যামাজোনাস, পারা, মাতো গ্রোসোর আংশিক অংশ আগুন গ্রাস করেছে।
স্থানীয় পরিবেশবিদদের ধারণা, এই আগুন প্রাকৃতিক কারণ নয়। দাবানল নয়। বরং আমাজনের এই আগুনের পিছনে রয়েছে মানুষের ষড়যন্ত্র। চাষ ও বাসের জমি পাওয়ার জন্য স্থানীয় লোকজন জঙ্গলের গাছ কাটা ও আগুন ধরানো শুরু করেছে, যা বর্তমানে এমন বিধ্বংসী রূপ নিয়েছে।