বাংলা হান্ট ডেস্ক:প্রায় ৫৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে আমাজন নদের পাশে গড়ে উঠেছে সুবিশাল বৃষ্টি-অরণ্য (রেন ফরেস্ট) আমাজন। পৃথিবীর ২০ শতাংশ অক্সিজেনের আমদানি হয় ওই বৃষ্টি-অরণ্য থেকে।আমাজন জঙ্গলে রয়েছে ১৬ হাজার প্রজাতির গাছগাছালি। কিন্তু পৃথিবীর এই ফুসফুস আজ বিপন্ন। বিধ্বংসী আগুন ক্রমশ গ্রাস করছে ওই চিরহরিৎ বনভূমিকে। বলছে এ বছর আমাজন বৃষ্টি-অরণ্যে ৭২,৮৪৩টি দাবানলের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় যা ৮৩% বেশি! এই প্রকোপ আগের সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে বলে দাবি ব্রাজিলের সংস্থার।
যে দিকে তাকানো যায় শুধু কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়া।ছাড় পায়নি২৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিতব্রাজিলের সাও পাওলোর আকাশ।দুপুরের আকাশ রাতের চেয়েও অন্ধকার। ব্রাজিলের রোরাইমা প্রদেশ থেকে পেরুর আকাশেও হানা দিয়েছে ধোঁয়া। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার উপগ্রহ চিত্রেও ধরা পড়েছে আমাজনে ঘটতে থাকা ৯৫০৭টি নতুন দাবানলের চিত্র। আগুনের তীব্রতার ছবিও পাঠাচ্ছে নাসার একাধিক স্যাটেলাইট।তবে আগুনের থেকেও বিজ্ঞানীদের বেশি ভাবাচ্ছে আগুন থেকে উৎপন্ন ধোঁয়ার জাল। প্রায় ১৭০০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে কালো ধোঁয়া।
ব্রাজিলের ফেডেরাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, শুকনো বাতাসে দাবানল জ্বলে ওঠা অস্বাভাবিক কিছুনয়।তবে এ ক্ষেত্রে দাবানলের প্রকোপে আগুন লাগেনি বলেই মনে করছেন তাঁরা। ওই বিজ্ঞানীদের মতে, অনেক সময়েই চাষের জন্য জমি বা খামার তৈরি করতে ইচ্ছাকৃত ভাবে জঙ্গলে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এমনটাই হয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। খনিজ পদার্থের ভাণ্ডার আমাজন। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি মিনিটে একটি ফুটবল মাঠের মাপের জঙ্গল কাটা হয় এখানে।ফলে স্বল্প বৃষ্টিপাতও আমাজনে আগুন লাগার একটি কারণ হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীদের আর এক অংশ। কার্বন ছাকনি হিসেবে পরিচিত চিরসবুজের ওই জায়গা যে এই ঘটনার পর তাঁর কর্মক্ষমতা হারাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত প্রায় সমস্ত গবেষক। ।