বাংলাহান্ট ডেস্ক : টাইটানিক জাহাজ দুর্ঘটনার ১০০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে বহুদিন হল। কিন্তু আজও টাইটানিক জাহাজকে নিয়ে মানুষের মনে ভিড় করে আসে হাজারো প্রশ্ন। বিলাসবহুল এই জাহাজটির দুর্ঘটনা মানব ইতিহাসের অন্যতম ভয়ংকর দুর্ঘটনাগুলির একটি বলে ধরা হয়। বিলাসবহুল এই জাহাজটি ছিল ১৭ তলা উঁচু বিল্ডিং এর সমান।
এই জাহাজের দুর্ঘটনার ফলে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৫১৩ জন। ১৯১২ সালের ১০ই এপ্রিল মধ্যরাতে ঘটেছিল সেই ভয়ংকর দুর্ঘটনা। টাইটানিক জাহাজটি তার প্রথম যাত্রাতেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। হাজারের অধিক মানুষ প্রাণ হারান টাইটানিক দুর্ঘটনায়। এত বছর পরেও টাইটানিক নিয়ে আমাদের কৌতূহলের শেষ নেই।
আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা টাইটানিকের টিকিট মূল্য সম্পর্কে আলোচনা করব। টাইটানিক নির্মাতারা দাবি করেছিলেন যে এই জাহাজটি কখনোই সমুদ্রে ডুবে যাবে না। ১৭ তলা বিল্ডিং এর সমান উঁচু এই জাহাজটি চালাতে প্রতিদিন খরচ হয়েছিল ৮০০ টন কয়লা। তিনটি ফুটবল মাঠের সমান এই জাহাজটি তার প্রথম যাত্রাতেই ডুবে যায় সাগরে।
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল টাইটানিকের টিকিট মূল্য। যাত্রীরা যে মূল্যের টিকিট কেটেছিলে সেই মূল্যের শ্রেণী অনুযায়ী সুবিধা পেতেন। টাইটানিকের প্রথম শ্রেণীর টিকিটের মূল্য ছিল ৪৩৫০ ডলার, যেটি বর্তমান হিসেবে ৩ লক্ষ টাকারও বেশি।
হিসাব অনুযায়ী ১০০ বছর পূর্বে কোনও কিছুর মূল্য যদি ৩ লক্ষ টাকা হয় তাহলে তার বর্তমান ভ্যালু দাঁড়াবে ৩০ কোটি টাকারও বেশি। টাইটানিকের দ্বিতীয় শ্রেণীর ভাড়া ছিল ১৭৫০ ডলার। আজকের মূল্য হিসেবে এটি দেড় লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, ৩০ ডলার ভাড়া ছিল টাইটানিকের তৃতীয় শ্রেণীর।
টিকিটের দাম বহুমূল্য হলেও যাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পেতেন জাহাজে। সব ধরনের খাবার ও পানীয়র ব্যবস্থা ছিল যাত্রীদের জন্য। ৮৬ হাজার পাউন্ড মাংস, ৪০ হাজার ডিম, ৪০ টন আলু, ৩৫০০ পাউন্ড পেঁয়াজ, ১০০০ রুটির প্যাকেট মজুদ করা হয়েছিল টাইটানিকে। এছাড়াও যাত্রীদের জন্য অন্যান্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল।